Welcome to Desh-Bidesh Web
Portal--a popular community webpage for Bangladeshis.
Contact:
info@deshbideshweb.com. Disclaimer: The owner/editor is not
responsible for any damage occurred by using this
website; read
more.... Disclaimer
| Site
info | Contact
Corona Virus Information :: জাপানে করোনা
ভাইরাস সম্পর্কিত তথ্য
Note: We are trying to
give you accurate information about Corona Virus
Infections in Japan and other countries. However, there
is no warranty that it is 100% accurate. Therefore, use
the following information at your own risk.
২০১১.৩.১১
দুপুর ২টা ৪৬মিনিট! সেই বিধ্বংসী ভূমিকম্প ও ভয়াল
সুনামির ১০ বছর পূর্তি!
প্রাকৃতিক
দুর্যোগের
দেশ জাপান। আছে ভূমিকম্প, আছে সুনামি, আছে টাইফুন,
আছে ভূমিধ্বস, আছে তুষারপাত, আছে ভারী বর্ষণ। এই
জন্য সব সময় আগাম প্রস্তুতি দরকার। যেমন বোতল জল,
নগদ টাকা, টর্চলাইট, ব্যাটারী, রেডিও, ফার্স্ট
এইড, শুকনো খাবার, জরুরি সময়ের ব্যাগ,...। এছাড়া
আপনার নিকটবর্তী নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রের তথ্য
ইত্যাদি জানা দরকার।
২০২৩/১/১৪ঃ গত ২৪ ঘন্টায় জাপানে রেকর্ড ৫০৩ জন করোনা রোগী মারা গেছে এবং ১,৩২,০৭১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
২০২৩/১/৪ঃ
জাপানের গ্রাম্য এলাকায় জনসংখ্যা ব্যাপকহারে কমে যাওয়ায় জাপান সরকার
টোকিও এলাকা থেকে জাপানের গ্রাম এলাকায় স্থানান্তরিত হলে প্রতি সন্তানের
জন্য দশ লক্ষ ইয়েন (প্রায় ৮ লক্ষ টাকা) করে আর্থিক সহায়তা দিবে।
বিস্তারিতঃ Nikkei Asia | Japan Times | Financial Times
২০২২/১২/২৮:
গত ২৪ ঘন্টায় জাপানে রেকর্ড ৪১৫ জন মারা গেছে এবং ২,১৬,২১৯ জন করোনা রোগী
শনাক্ত হয়েছে। আমি পূর্বাভাস দিয়েছিলাম যে অষ্টম পিকের কাছাকাছি সময়ে ৪০০ জনের কাছাকাছি মারা যাবে! এদিকে জাপানে ইনফ্লুয়েঞ্জার
সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে।
২০২২/১২/২১ঃ
জাপানের করোনা পরিস্থিতির অনেক অবনতি। গত ২৪ ঘন্টায় জাপানে দুই লক্ষাধিক
করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং ২৯৬ জন করোনা রোগী মারা গেছে। আগামী
জানুয়ারী মাসে জাপানে অষ্টম ঢেউয়ের পিক হওয়ার সম্ভাবনা আছে। পিক সময়ে
প্রতিদিন তিন-চার লক্ষ করোনা রোগী শনাক্ত এবং পিকের কাছাকাছি সময়ে প্রতিদিন
৪০০র কাছাকাছি করোনা রোগী মারা যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এমতাবস্থায়, যাদের
বাসায় করোনা ভাইরাসের টিকার চতুর্থ/পঞ্চম ডোজের টিকিট এসেছে তারা টিকা
নিয়ে নিন। আর বাইরে বের হলে স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মেনে চলুন।
Multicultural One Family Festival
২০২২/১১/১৬ঃ
আবার শুরু! জাপানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের অষ্টম ঢেউ শুরু হয়েছে! গত ২৪
ঘন্টায় জাপানে ১,০৭,১৮৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং ১১১ জন মারা গেছে।
এবার করোনার সংক্রমণের পিক ও ইনফ্লুয়েঞ্জার পিক একই সময়ে হওয়ার সম্ভাবনা
আছে। দুই পিক একই সময়ে হলে হাসপাতালে ডাক্তার দেখানো কঠিন কাজ হতে পারে।
কাজেই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ সাপেক্ষে করোনার টিকা ও ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা
নিন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
২০২২/৮/২৩ঃ গত ২৪ ঘন্টায় জাপানে রেকর্ড ৩৪৩ জন করোনা রোগী মারা গেছে এবং নতুন করে ২,০৮,৫৫১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
২০২২/৮/১৯ঃ গত ২৪ ঘন্টায় জাপানে রেকর্ড ২,৬১,০২৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং ২৯৪ জন মারা গেছে।
২০২২/৮/১৮ঃ গত ২৪ ঘন্টায় জাপানে
রেকর্ড ২,৫৫,৫৩৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং ২৮৭ জন মারা গেছে। ২১টি
প্রিফেকচারে (=জেলায়) রেকর্ড সংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত।
২০২২/৮/৩:
রেকর্ড, রেকর্ড, রেকর্ড! গত ২৪ ঘন্টায় জাপানে রেকর্ড ২,৪৯,৮৩০ জন করোনা
রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং ১৬৯ জন মারা গেছে। বাড়ছে শনাক্তের সংখ্যা; বাড়ছে
মৃতের সংখ্যা। অবিশ্বাস্য! বারো কোটি মানুষের দেশ জাপানে একদিনে আড়াই লাখ
করোনা রোগী শনাক্ত!
২০২২/৭/২৭ঃ
জাপানে করোনা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি। গত ২৪ ঘন্টায় জাপানে রেকর্ড
২০৯,৬৯৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং ১২৯ জন মারা গেছে। শিশু থেকে
শুরু করে বয়োবৃদ্ধ পর্যন্ত যে কেউ যে কোন জায়গায় করোনা ভাইরাসে
আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি হওয়া
রোগীদের মধ্যে আছে শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ পর্যন্ত। কিন্তু বর্তমানে
হাসপাতালে করোনার টেস্ট করানোর জন্য বুকিং পাওয়া কঠিন। উপরন্তু,
স্টাফরা ইংরেজি বলতে পারে এরকম হাসপাতালের সংখ্যা জাপানে নগণ্য।
এমতাবস্থায়, স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মেনে চলুন।
করোনার টেস্টঃ Antigen এবং ফ্রি PCR টেস্ট
২০২২/৭/২৫ঃ
জাপানে করোনা আর করোনা! ঘরে ঘরে করোনার সংক্রমণের সমস্যা দেখা দিয়েছে। যে
কোন মুহুর্তে করোনার টেস্ট করানো লাগতে পারে। এমতাবস্থায়, যারা কল করেছে
তারা বলছে Corona Call Center খুব বেশি কাজে আসছে না। হাসপাতালে টেস্ট
করাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রচুর রোগীর চাপে অনেক হাসপাতালে টেস্ট করাতে
চাচ্ছে না; বলছে যে তাদের হাসপাতালে বেড খালি নেই। করোনায় আক্রান্ত হলে
কারো কারো শারীরিক অবস্থার মুহূর্তের মধ্যে মারাত্মক অবনতি হতে পারে।
কাজেই সাবধান! তাহলে কীভাবে করোনার টেস্ট করাবেন?
হাসপাতালে টেস্ট:
১. প্রথমে আপনার নিকটস্থ হাসপাতালে/ক্লিনিকে ফোন করে উপসর্গ নিয়ে পরামর্শ
করবেন। হাসপাতালে করোনার টেস্ট করা যাবে কিনা জিজ্ঞাসা করবেন। অনেক
ক্ষেত্রে টেস্ট করানোর জন্য হাসপাতালে বুকিং দিতে হতে পারে।
২. হাসপাতালে যাওয়ার পর ডাক্তার যদি করোনার টেস্ট করার কথা বলে তাহলে
করোনার টেস্ট করানোর জন্য কোন খরচ লাগবে না। কিন্তু হাসপাতালে প্রথমবার
গেলে প্রাথমিক কিছু খরচ লাগবে।
৩. করোনা পজিটিভ হলে হাসপাতাল সব নির্দেশনা দিবে এবং প্রিফেকচারের সিস্টেমে এন্ট্রি করে দিবে।
৪. শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে ভর্তি করাবে কিন্তু অন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দিবে।
-------
Self Test/Free PCR Test:
১. Antigen test: দোকান থেকে Antigen test kit (抗原検査キット) কিনে বাসায়
করোনার টেস্ট করতে পারেন। কিছু কিছু ওষুধের দোকানে (Drug Store) Antigen
test kit পাওয়া যাচ্ছে। আপনার প্রিফেকচারের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিকটস্থ
ওষুধের দোকান যেখানে Antigen test kit বিক্রি করছে তা খুঁজে পাবেন। কানাগাওয়াতে এই ওয়েবসাইটে।
২. ফ্রি PCR টেস্ট (無料PCR検査):
আবার জাপানের বিভিন্ন এলাকায় স্টেশনের আশেপাশে ফ্রি PCR টেস্ট (無料PCR検査)
করা যাচ্ছে। আপনার প্রিফেকচারের ওয়েবসাইটে দেখুন। নিচের ওয়েবসাইট থেকে
আপনার প্রিফেকচারের ফ্রি PCR টেস্টের স্থানের তথ্য জানুন: https://corona.go.jp/free_inspection/
উপরোক্ত টেস্টে যদি করোনা পজিটিভ আসে তাহলে বাসায় বসে চিকিৎসা সেবা নিতে
হতে পারে। এজন্য প্রিফেকচারের Home Treatment Notification System
(自主療養届出システム) এ রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং ওখানকার নির্দেশনা অনুসরণ করতে
হবে। তবে নিচের ব্যক্তিদের হাসপাতাল/ক্লিনিকের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা নিতে
হবে। বাসায় চিকিৎসা সেবা নেওয়া সমীচীন হবে না।
১. ৬৫ বছর কিংবা তার চেয়ে বেশি বয়সী ব্যক্তিরা
২. গর্ভবতী মায়েরা
৩. দুই বছরের চেয়ে কম বয়সী শিশুরা
৪. ৪০ থেকে ৬৪ বছর বয়সী ব্যক্তিরা যাদের শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি হওয়ার ঝুঁকি আছে তারা।
২০২২/৭/২৫ঃ
জাপানে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত। জাপানে শুরু! ভারতে চারজন
শনাক্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণকে Global
Health Emergency হিসেবে ঘোষণা করেছে। সারা বিশ্বে এ পর্যন্ত মোট ১৬,৮৩৬
জন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদিকে আমেরিকার
ক্যালিফোর্নিয়ার এক ব্যক্তি দাবি করেছেন যে, তিনি একই সময়ে করোনা ভাইরাস
এবং মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
২০২২/৭/১৮ঃ করোনা আর করোনা! চারিদিকে করোনা! জাপানে করোনার সুনামি! আমার পূর্বাভাস সঠিক!
এবার ঘরে ঘরে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
জাপানে করোনা সুনামি চলছে! বারো কোটি মানুষের দেশ জাপানে এখন প্রতিদিন
লক্ষাধিক করে করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। মারা যাচ্ছে ২০-৩০ জন করে। কিন্তু
কারা মারা যাচ্ছে? কাদের শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি হচ্ছে? জাপানের
স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয় এ সম্পর্কিত তথ্য দিয়েছে। করোনায়
আক্রান্ত হয়ে শুধু বয়োবৃদ্ধদের শারীরিক অবস্থার যে মারাত্মক অবনতি হচ্ছে
তা নয়, ছোট ছোট শিশুদেরও কিন্তু শারীরিক অবস্থার মারত্মক অবনতি হচ্ছে এবং
মারাও যাচ্ছে। জাপানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ২০ বছরের নীচের ১৫ জন
শিশু-কিশোর মারা গেছে।
বিস্তারিতঃ https://covid19.mhlw.go.jp/en/
জাপান
পূর্বাভাস
সঠিক! গত জুন ২৯, ২০২২ তারিখে দেওয়া পূর্বাভাস সঠিক।
জাপানে আবার করোনা সংক্রমণের সুনামি শুরু হয়েছে; হু হু
করে করোনা রোগী বাড়ছে। পূর্বাভাস দেওয়ার দিন করোনা রোগী
শনাক্তের সংখ্যা ছিল ২৩,৩৪৬ জন আর গত ২৪ ঘন্টায় জাপানে
৪৭,৯৭৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। মানে, এক সপ্তাহের
ব্যবধানে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে।
জাপানে গত সাতদিনে প্রতিদিন শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা
যথাক্রমে ২৩,১৫৬জন; ২৪,৯০৩জন; ২৩,২৯৯জন; ১৬,৮০৮ জন;
৩৬,১৮৯জন; ৪৫,৮২১জন; ৪৭,৯৭৭জন। প্রবাসীরা
স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মেনে চলুন। করোনা এখনো শেষ হয়নি।
২০২২/৬/২৯ঃ
জাপান
পূর্বাভাসঃ জাপানে খুব সম্ভবতঃ করোনা সংক্রমনের পরবর্তী ঢেউ
শুরু হয়েছে। আগামী সপ্তাহান্তে পরিষ্কার একটা ধারণা
পাওয়া যেতে পারে। জাপানে এখনো আগের ঢেউ স্বাভাবিক
অবস্থায় আসেনি। এরই মধ্যে পরবর্তী ঢেউয়ের অশনিসংকেত!
এখনো জাপানে প্রতিদিন ১৫,০০০-২৫,০০০ জন করে করোনা রোগী
শনাক্ত হচ্ছে এবং ১০-২০ জন করে মারা যাচ্ছে। সবাই
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।
এদিকে এখন জাপানে প্রচন্ড গরম পড়তে শুরু করেছে। তাপমাত্রা
৪০-৪১ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত উঠে যাচ্ছে। প্রতি বছর
এই গরমের সময়ে প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষ হিট স্ট্রোকে
আক্রান্ত হয় এবং কয়েক শ' মানুষ মারা যায়। কাজেই বাইরে বের
হলে সাবধান!
২০২২/৬/১৮ঃ পূর্বাভাস খুব সম্ভবতঃ
সঠিক! খুব
সম্ভবতঃ বাংলাদেশে ও ভারতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের
পরবর্তী ঢেউ শুরু হয়ে গেছে। এই সপ্তাহে শনাক্তের
সংখ্যা ও হার দ্রুত বেড়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে শনাক্তের
হার ৬ এর কাছাকাছি। এখন থেকে শনাক্তের সংখ্যা ও হার বাড়তে
থাকবে। এবারের ঢেউ দীর্ঘদিন ধরে বহমান থাকার সম্ভাবনা আছে।
বাংলাদেশে একদিকে বন্যা পরিস্থিতি খারাপ; অন্যদিকে করোনা
সংক্রমণ যদি দ্রুত বাড়তে থাকে তাহলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়তে
থাকবে।
এদিকে জাপানে কচ্ছপের গতিতে শনাক্তের সংখ্যা কমছে। জাপানে
এখন প্রতিদিন প্রায় ১৫,০০০ জন করে করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে
এবং ২০-২৫ জন করে মারা যাচ্ছে।
আপডেটঃ
জুন ১১, ২০২২ঃ
>>বাংলাদেশ ও ভারতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের
পরবর্তী ঢেউয়ের অশনি সংকেত! >>আগামী
সপ্তাহান্তে একটা ধারণা পাওয়া যেতে পারে
সারা বিশ্ব থেকে করোনা মহামারী এখনো শেষ হয়নি। সংক্রমণ
কোথাও বাড়ছে, কোথাও কমছে। এখন ধরে নেওয়া হচ্ছে যে,
ইনফ্লুয়েঞ্জার মত করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে "living with
corona" হবে। মানে, করোনা আসবে, করোনা যাবে। এর মাঝখানে
কেউ কেউ চিরদিনের জন্য হারিয়ে যাবে!
এই সপ্তাহে ভারতে দ্রুত করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে;
কোন কোন দিন সংক্রমণ আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৪০-৫০%
বেড়েছে। আজ মহারাষ্ট্রে শনাক্তের হার ১২.৭৪%। যত বেশি
সংক্রমণ হবে তত বেশি করোনা রোগী মারা যাবে কিন্তু মৃতের
সংখ্যা সংক্রমণ বৃদ্ধির বেশ কিছুদিন পর থেকে বাড়তে শুরু
করে।
এদিকে বাংলাদেশেও এই সপ্তাহে বেড়েছে যদিও সংখ্যায় খুব
কম।
আগামী সপ্তাহান্তে ভারতে ও বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের
পরবর্তী ঢেউ শুরু হয়েছে কিনা তা বোঝা যেতে পারে। তবে এবার
ঢেউ একবার শুরু হলে তা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
আর জাপানে ওমিক্রন সুনামির ঢেউ এখনো চলছে! এখনো জাপানে
প্রতিদিন ১৫,০০০-২০,০০০ জন করে করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে
এবং ২০-৩০ জন করে মারা যাচ্ছে। প্রায় সাত মাস ধরে সেই
ওমিক্রন সুনামি চলছে।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
২০২২/৫/২ঃ
জাপানে করোনা পরিস্থিতিঃ জাপানে করোনা পরিস্থিতি এখনো
স্বাভাবিক হয়নি। এখনো ওমিক্রন সুনামি শেষ হয়নি। এখনো
প্রতিদিন প্রায় ৩০,০০০-৫০,০০০ জন করে করোনা রোগী শনাক্ত
হচ্ছে এবং ৩০-৬০ জন করে মারা যাচ্ছে। এদিকে জাপানের
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী এপ্রিল ২৯ তারিখে দশ বছরের কম বয়সী
সুস্থ-সবল এক মেয়ে শিশু করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে
হঠাৎacute encephalopathyতে মারা গেছে।
ওমিক্রন সংক্রমণ নিয়ে পূর্বাভাসের চূড়ান্ত
মুল্যায়ন! জাপানের ষষ্ঠ ঢেউ নিয়ে দেওয়া পূর্বাভাস সঠিক
ছিল
করোনা ভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের
সংক্রমণে
যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাজ্য,জাপান,সিংগাপুর,অষ্ট্রেলিয়া,দক্ষিণ
কোরিয়া, হংকংসহ বিভিন্ন দেশে লক্ষ লক্ষ করোনা রোগী শনাক্ত
হয়েছে। আমি এর নাম দিয়েছি ওমিক্রন সুনামি! এই ওমিক্রন
সুনামিতে জাপানে প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হয়েছে, প্রচুর
মানুষ মারা গেছে। ডিসেম্বর ২২,২০২১ তারিখের দিকে ওমিক্রন
সুনামিতে জাপানে ষষ্ঠ ঢেউ শুরু হয়েছিল। এ পর্যন্ত ওমিক্রন
সুনামিতে জাপানে তিন মাসে প্রায় ৪৩.৬ লক্ষ করোনা রোগী
শনাক্ত হয়েছে এবং প্রায় ৮,৬০০ জন করোনা রোগী মারা গেছে, যা
ডেল্টার চেয়ে অনেক বেশি। আর এই সংক্রমণের পিক হয়েছিল
ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২২ তারিখে; সেদিন জাপানে এক লক্ষ ৯৪৯ জন
করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল। জাপানে ষষ্ঠ ঢেউ শুরু ও পিক
নিয়ে আমার পূর্বাভাস সঠিক ছিল। জাপানে এখনো প্রতিদিন
পঞ্চাশ হাজারের কাছাকাছি করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে এবং
শতাধিক করোনা রোগী মারা যাচ্ছে। যে হারে সংক্রমণ কমছে তাতে
জাপানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ স্বাভাবিক অবস্থায় আসতে
এখনো প্রায় দুই মাস লাগতে পারে।
এদিকে ভারতীয় উপমহাদেশে ওমিক্রনের ঢেউ হঠাৎ এসে তাড়াতাড়ি
শেষ হয়ে গেছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে আলাদা ধারা
লক্ষ্য করা গেছে। বাংলাদেশে চতুর্থ ঢেউ শুরু নিয়ে আমার
পূর্বাভাস সঠিক ছিল কিন্তু পিক আমার পূর্বাভাসের চেয়ে দুই
সপ্তাহ আগে হয়েছে। ওমিক্রন সুনামির সময় বাংলাদেশে মৃতের
সংখ্যা ও গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যা ডেল্টা
ভ্যারিয়্যান্টের চেয়ে অনেক কম কয়েছে যা আমার পূর্বাভাসের
যথার্থতা প্রমাণ করে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ স্বাভাবিক
অবস্থায় চলে এসেছে।
কিন্তু করোনা সংক্রমণ এখনো শেষ হয়নি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে
আবার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। এমতাবস্থায়, আমার উপদেশ
হলো টিকা নিন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।
ভালো থাকুন,সুস্থ থাকুন। পরিসমাপ্তি টানছি আমার ব্যক্তিগত
গবেষণার। বিদায়!
ধন্যবাদান্তে--তপন পাল,পিএইচডি,টোকিও,জাপান,২০২২/৩/২০ ইং
২০২২/২/২২ঃ ওমিক্রন
সুনামিতে জাপানে মৃত্যুর মিছিল! গত ২৪ ঘন্টায় জাপানে
রেকর্ড ৩২২ জন মারা গেছে। জাপানে করোনা ভাইরাসের ওমিক্রন
ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের ঢেউ সর্বোচ্চ চূড়া থেকে আস্তে
আস্তে নীচে নামছে আর মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। আমি ২০২০ সালে
বলেছিলাম যে পাহাড়ে উঠা তুলনামূলকভাবে সহজ কিন্তু পাহাড়
থেকে নামা কঠিন এবং নামার সময় অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটে।
ওমিক্রনে মৃত্যুহার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে কম হলেও
প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে বলে মৃতের সংখ্যাও বেশি। জাপানে
ও আমেরিকাতে একই ধারা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমেরিকাতে ডেল্টা
ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের মৃত্যুহার ছিল ১.২২% (১,০৯,১৭,৫৯০
জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল আর ১,৩২,৬১৬ জন মারা গিয়েছিল)
আর ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের সময়ে মৃত্যুহার ০.৫১%
হলেও ৩,০১,৬৩,৬০০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং ১,৫৪,৭৫০
জন মারা গেছে।
বুস্টার ডোজ হিসেবে কোন টিকা নিবেন?
২০২২/২/১৯ঃ
জাপানে অধিকাংশ মানুষ ফাইজার কিংবা মডার্না কর্তৃক
উদ্ভাবিত করোনা ভাইরাসের টিকার দুইডোজ নিয়েছেন। এখন
বুস্টার ডোজ হিসেবে কোন টিকা নিবেন? জাপানের গবেষণায় দেখা
গেছে যে, ফাইজারের টিকা নেওয়া ব্যক্তিরা যদি মডার্নার
টিকার বুস্টার ডোজ নেয় তাহলে তাদের দেহে ফাইজারের টিকার
বুস্টার ডোজ নেওয়া ব্যক্তিদের চেয়ে বেশি পরিমাণ এন্টিবডি
তৈরি হবে (মানে, বেশি কার্যকরী হবে) কিন্তু
পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া (৩৮ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডের চেয়ে বেশি
মাত্রার জ্বর, শারীরিক দুর্বলতা ও মাথাব্যথা) বেশি
হবে। কাজেই যারাপার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া ভয় পান তাদের বুস্টার
ডোজ হিসেবে একই টিকা নেওয়া ভালো হবে।
একজন জাপান প্রবাসী সপরিবারে করোনায় আক্রান্ত
এই
জাপানে যে কেউ যে কোন জায়গায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত
হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই জেনে নিন জাপানে করোনা
ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কী পরিস্থিতি হয়, কী করতে হয় এবং
জাপান সরকার থেকে কী কী দেয়। এই হলো জাপানের সুন্দর
সিস্টেম! বিস্তারিত
দেখুন দ্য ডেইলি স্টারে (২০২২/২/১২)
ওমিক্রন সুনামির আপডেট (২০২২/২/১২)
১। জাপানেঃ জাপানে এ
পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ ৯৪৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত
হয়েছে (ফেব্রুয়ারী ৫,২০২২ তারিখে) এবং সর্বোচ্চ ১৬৪ জন
মারা গেছে (ফেব্রুয়ারী ১০, ২০২২ তারিখে) । বর্তমানে
প্রতিদিন প্রায় এক লক্ষের কাছাকাছি করোনা রোগী শনাক্ত
হচ্ছে এবং ১৫০ জনের কাছাকাছি মারা যাচ্ছে। আমার পূর্বাভাস
অনুযায়ী জাপান ওমিক্রনে সৃষ্ট ষষ্ঠ পিক অতিক্রম করেছে এবং
আগামী সপ্তাহ থেকে শনাক্তের সংখ্যা আস্তে আস্তে কমতে
থাকবে।
২। বাংলাদেশেঃ বাংলাদেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য
অনুযায়ী গত দুই সপ্তাহ ধরে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা ও
শনাক্তের হার নিম্নমুখী। কাজেই বাংলাদেশ ওমিক্রন
ভ্যারিয়েন্টে সৃষ্ট চতুর্থ পিক অতিক্রম করেছে। আমার
পূর্বাভাসের চেয়ে দুই সপ্তাহ আগেই পিক অতিক্রম করেছে।
ভারতও পিক অতিক্রম করেছে।
৩। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার চেয়ে কম শক্তিশালী হলেও
অনেক মানুষ কিন্তু মারা যাচ্ছে। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে
আক্রান্ত গুরুতর অসুস্থ রোগীর হার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের
চেয়ে কম হলেও প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে বলে গুরুতর
অসুস্থ রোগীর সংখ্যা ও মৃতের সংখ্যা অনেক। তাই ওমিক্রন
ভ্যারিয়েন্টকে হালকাভাবে না দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন;
আর করোনার উপসর্গ থাকলে টেস্ট করে ওষুধ খান।
২০২২/২/৫ঃ জাপানে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা এক
লক্ষ ছাড়াল আর মৃতের সংখ্যা আস্তে আস্তে রেকর্ডের দিকে
যাচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় জাপানে রেকর্ড ১ লক্ষ ৯৪৯ জন করোনা
রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং ১১৭ জন মারা গেছে। এদিকে ভারতে
শনাক্তের সংখ্যা নিম্নগামী হলেও প্রতিদিন প্রায়
১,০০০-১,১০০ জন করে করোনা রোগী মারা যাচ্ছে। জাপানের
জনসংখ্যা ও ভারতের জনসংখ্যা তুলনা করলে জাপানে মৃতের
সংখ্যা (১১৭ জন) ও ভারতে মৃতের সংখ্যা (আজ ১,০৫৯জন; ১১৭
*১১.৫=১,৩৪৫) একই ধারা মেনে চলছে কিন্তু ভারতে শনাক্তের
সংখ্যা অনেক কম! ভারতে খুব সম্ভবতঃ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত
অনেক রোগী করোনার টেস্ট করছে না যে কারণে শনাক্তের সংখ্যা
অনেক কম। বাংলাদেশেও প্রচুর রোগী করোনার মৃদু/মাঝারি
উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও টেস্ট করাচ্ছে না।
২০২২/১/২৯ঃ আজও জাপানে একদিনে রেকর্ড ৮৪,৯৩৪ জন
করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং ৩৯ জন মারা গেছে।
২০২২/১/২৫ঃ আজ জাপানে রেকর্ড ৬২,৬১৩ জন
করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে আর ৪১ জন মারা গেছে। টোকিও ও
ওসাকাসহ অধিকাংশ এলাকায় রেকর্ড সংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত।
আস্তে আস্তে জাপানে মৃতের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। গতকাল
১৭ জন মারা গিয়েছিল; আজ ৪১ জন। মানে, একদিনের ব্যবধানে
মৃতের সংখ্যা ২৪ জন বেড়েছে। আমার পূর্বাভাস অনুযায়ী আজ
থেকে ফেব্রুয়ারী ১২ তারিখের মধ্যে ষষ্ঠ ঢেউয়ের পিক হবে।
এদিকে বাংলাদেশে প্রায় রেকর্ডের কাছাকাছি ১৬,০৩৩ জন করোনা
রোগী শনাক্ত হয়েছে। আমার পূর্বাভাস অনুযায়ী পিকের কাছাকাছি
সময়ে বাংলাদেশে প্রতিদিন ২০,০০০-৪০,০০০ জন করে করোনা রোগী
শনাক্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
>>>জাপান
ও বাংলাদেশে সংক্রমনের পিকের পূর্বাভাস
২০২২/১/২২:
আজ দেশে-বিদেশে চলছে করোনা ভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েনেটের
অভাবনীয় সংক্রমণ। আমি এর নাম দিয়েছি ওমিক্রন সুনামি।
আপনারা দেখেছেন যে, আমার পূর্বাভাসগুলো কতটা সত্য। আমি
ডিসেম্বর মাস থেকে বলে আসছি যে জাপান,বাংলাদেশ ও ভারতে
ওমিক্রন সংক্রমনের সুনামি আসছে। সংক্রমনের পিকের কাছাকাছি
সময়ে জাপানে প্রতিদিন ৩০,০০০-৫০,০০০ জন, বাংলাদেশে
প্রতিদিন ২০,০০০-৪০,০০০ জন এবং ভারতে প্রতিদিন ৫লক্ষ-১০
লক্ষ জন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আজ আপনারা
দেখতে পাচ্ছেন যে,জাপানে কী হারে করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে।
এই সপ্তাহে জাপানে প্রতিদিন নতুন করে রেকর্ড হয়েছে;
সর্বশেষ আজ জাপানে রেকর্ড ৫৪,৫৭৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত
হয়েছে যা আগের ঢেউয়ের পিকের দ্বিগুণের চেয়েও বেশি। মাত্র
একমাসের ব্যবধানে জাপানে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা
বেড়েছে ২০,৮৩০%; মানে,জাপানে সুনামির বেগে করোনা রোগী
বাড়ছে। গ্রাফ দেখুন তাহলে বুঝতে পারবেন কীভাবে করোনা
সংক্রমন বেড়েছে। আমার পূর্বাভাস ছিল যে
ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে সৃষ্ট ঢেউয়ের খুব সম্ভবত বৈশিষ্ট্য
হবে প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হবে কিন্তু টিকার দুই ডোজ
নেওয়ার কারণে গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যা ও মৃতের সংখ্যা
ডেল্টার তুলনায় কম হবে। এই পূর্বাভাস সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা
আছে। ভবিষ্যতে আপনারা যাচাই করবেন। ডিসেম্বর ২৯,২০২১
তারিখে পূর্বাভাস দিয়েছিলাম যে বাংলাদেশে খুব সম্ভবত করোনা
ভাইরাস সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউ শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে
শনাক্তের হার বাড়বে। এভাবে আস্তে আস্তে কিছুদিন বাড়তে
থাকবে; তারপর হঠাৎ করেই দ্রুত বাড়তে থাকবে। আপনারা
বাংলাদেশে ঠিক এই ধারাই দেখতে পাচ্ছেন। এমতাবস্থায়, আমি
জাপানে ও বাংলাদেশে সংক্রমনের পিকের পূর্বাভাস দিচ্ছি।
পরবর্তীতে মূল্যায়ন দেখতে পাবেন। ১। জাপানে খুব সম্ভবতঃ
জানুয়ারী ২৫ থেকে ফেব্রুয়ারী ১২ তারিখের মধ্যে ষষ্ঠ ঢেউয়ের
পিক হবে। মার্চ মাসের শেষের দিকে আস্তে আস্তে স্বাভাবিক
অবস্থায় আসবে। ২। বাংলাদেশে খুব
সম্ভবতঃ ফেব্রুয়ারী ১৪ থেকে ফেব্রুয়ারী ২৮ তারিখের মধ্যে
চতুর্থ ঢেউয়ের পিক হবে। বাংলা নববর্ষের পরে স্বাভাবিক
অবস্থায় চলে আসবে। ***সতর্কবাণী:
এই পূর্বাভাস আগের ঢেউয়ের ধারা ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের
সংক্রমণের তথ্যের উপর ভিত্তি করে দেওয়া হচ্ছে। এই
পূর্বাভাস যে ১০০% সঠিক হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে ১০০% সঠিক পূর্বাভাস
দেওয়া কঠিন।
গবেষণাঃ তপন পাল, পিএইচডি, টোকিও, জাপান
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের
পূজা-পার্বণের ক্যালেন্ডার
২০২২/১/২২ঃ ওমিক্রন সুনামি!
গতকালের রেকর্ড আজ ভেঙে গেছে। জাপানে আজও একদিনে
রেকর্ড ৫৪,৫৭৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
ওমিক্রন সুনামিতে জাপানে গত পাঁচদিন ধরে রেকর্ড
সংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে; গত পাঁচদিনে
যথাক্রমে ৩২,১৯৭ জন, ৪১,৪৮৫ জন, ৪৬,১৯৭ জন ,
৪৯,৮৫৬ জন এবং ৫৪,৫৭৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে গুরুতর অসুস্থ রোগী ও হাসপাতালে ভর্তি
মাঝারি উপসর্গের রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। গতকাল
একদিনে গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যা ২০ জন বেড়েছে
এবং হাসপাতালে ভর্তি মাঝারি উপসর্গের রোগীর সংখ্যা
৩৫,৯১৫ জন বেড়েছে। ওমিক্রনে সংক্রমিত রোগীদের
মধ্যে কারো কারো ৪০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড (১০৪
ডিগ্রী ফারেনহাইট) পর্যন্ত জ্বর হচ্ছে।
এদিকে বাংলাদেশে সুনামির হালকা ঢেউ লাগা শুরু
হয়েছে। গত দুইদিন ধরে দশ হাজারের অধিক করোনা রোগী
শনাক্ত হচ্ছে। আজ বাংলাদেশে ৯,৬১৪ জন করোনা রোগী
শনাক্ত হয়েছে এবং ১৭জন মারা গেছে।
২০২২/১/১৮ঃ
ওমিক্রন সুনামিঃ জাপানে আজ রেকর্ড ৩২,১৯৭ জন করোনা
রোগী শনাক্ত হয়েছে। ওসাকা ও হিয়োগোসহ বিভিন্ন
এলাকায় শনাক্তের সংখ্যায় রেকর্ড হয়েছে। ডিসেম্বর
২২, ২০২১ তারিখে দেওয়া আমার পূর্বাভাস (জাপানে
প্রতিদিন ৩০,০০০-৫০,০০০ জন শনাক্ত হবে) সঠিক ছিল
বলে মনে হচ্ছে।
২০২২/১/১২ঃ প্রত্যেকে করোনা
ভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত হবার
সম্ভাবনা আছে।
সারাবিশ্বে অতি সংক্রামক ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের
সংক্রমণের সুনামি চলছে। কোন কোন দেশে শনাক্ত
রোগীদের ৯৫% পর্যন্ত ওমিক্রনে সংক্রমিত। বিভিন্ন
দেশে রেকর্ড সংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। টিকা
উদ্ভাবনকারী কোম্পানিগুলো বলছে যে, মার্চ মাসে
ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের টিকা বাজারে আসবে কিন্তু
তার আগেই অনেক দেশে ওমিক্রনের সুনামি বয়ে যাবে।
এমতাবস্থায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞরা
বলছেন যে,প্রত্যেকেই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে
সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বিস্তারিত।
তবে অনেক রোগীর কোন উপসর্গ থাকবে না।
এরই মাঝে আশার আলো হলো যে, ওমিক্রনে সংক্রমিত
রোগীদের অধিকাংশের (প্রায় ৮০-৯০%) কোন উপসর্গ নেই
কিংবা মৃদু উপসর্গ। সামান্য কিছু রোগীর উপসর্গ
মাঝারি (প্রায় ৭-১০%) ; গুরুতর অসুস্থ রোগীর
সংখ্যা খুব কম। কিন্তু এরপরও আমেরিকাসহ অন্যান্য
দেশে প্রচুর রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা
সেবা দিতে হচ্ছে। খুব সম্ভবত মাঝারি উপসর্গের
রোগীদের একাংশকে হাসপাতালে ভর্তি করে
চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে।
তবে সব দেশেই গবেষকরা বলছেন যে, ওমিক্রনে সংক্রমিত
রোগীর উপসর্গ হলো সাধারণ সর্দিকাশির মত উপসর্গ:
জ্বর, গলাব্যথা, কাশি, নাক দিয়ে সর্দি বের হওয়া,
শারীরিক দুর্বলতা (ক্লান্তি ক্লান্তি ভাব)
ইত্যাদি।
২০২২/১/৮ঃ
জাপান, বাংলাদেশ ও ভারতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের
পরবর্তী ঢেউ শুরু হয়ে গেছে। দ্রুত গতিতে বাড়ছে
শনাক্তের সংখ্যা। জাপানে ও ভারতে শনাক্তের সংখ্যা
আগের দিনের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ করে বাড়ছে।
আমেরিকাতে জানুয়ারী ৩ তারিখে একদিনে প্রায় ১০ লক্ষ
৮০ হাজার করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। সারা বিশ্বে
প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১৪জন করে করোনা রোগী শনাক্ত
হচ্ছে। পিকের কাছাকাছি সময়ে আগে দেওয়া আমার
পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি সংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত
হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আগামী দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে
শুরু হবে করোনা সংক্রমণের সুনামি। প্রচুর রোগী
শনাক্ত হবে। অনেক রোগী করোনার টেস্টের জন্য
অপেক্ষারত থাকবে।
জাপানে ও
বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের পরবর্তী ঢেউ শুরু নিয়ে
আমার দেওয়া পূর্বাভাস খুব সম্ভবতঃ সঠিক (গ্রাফ
দেখুন) ।
বুস্টার ডোজ
ছাড়া যে কেউ ওমিক্রনে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে
(টিকার উপর নির্ভর করে সম্ভাবনা প্রায় ৭০-৯০%)।
এখনো পর্যন্ত জানা তথ্য অনুযায়ী ওমিক্রনে সংক্রমিত
রোগীর উপসর্গ সাধারণ সর্দি-জ্বরের মত। ওমিক্রন
ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত হয়ে ***হাসপাতালে
ভর্তি***রোগীর মৃত্যুহার প্রায় ২.৭% (ডেল্টা
ভ্যারিয়েন্টে মৃত্যুহার প্রায় ২৯.১%)।
সাবধানে থাকুন। স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মেনে চলুন।
ওমিক্রন
ভ্যারিয়েন্টের সুনামি আসছে! স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি
মেনে চলুন; জীবন বাঁচান!
২০২১/১২/৩০ঃ >>> বাংলাদেশে
খুব সম্ভবত চতুর্থ ঢেউ শুরু হয়েছে। জাপানে ষষ্ঠ ঢেউ
শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশে খুব সম্ভবত করোনা ভাইরাস সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউ
শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে;
ধীরে ধীরে বাড়ছে শনাক্তের হার। এভাবে আস্তে আস্তে কিছুদিন
বাড়তে থাকবে; তারপর হঠাৎ করেই দ্রুত বাড়তে থাকবে। এই
ঢেউয়ের খুব সম্ভবত বৈশিষ্ট্য হবে প্রচুর মানুষ আক্রান্ত
হবে কিন্তু টিকার দুই ডোজ নেওয়ার কারণে গুরুতর অসুস্থ
রোগীর সংখ্যা ও মৃতের সংখ্যা ডেল্টার তুলনায় কম হবে। খুব
সম্ভবত বেশি আক্রান্ত হবে তারা যারা টিকা নেয়নি এবং ছোট
শিশু-কিশোর/কিশোরীরা।
এদিকে জাপানে ষষ্ঠ ঢেউ শুরু হয়েছে। ওমিক্রনে সংক্রমিত
রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এখানে উল্লেখ্য যে, বিশ্বের বিভিন্ন
গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী করোনার টিকার দুই ডোজ ওমিক্রনের
সংক্রমণ ঠেকাতে যথেষ্ট কার্যকরী নয় কিন্তু গুরুতর অসুস্থ
হয়ে হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি কমাবে। ওমিক্রনের সংক্রমণ
ঠেকাতে বুস্টার ডোজ দরকার। করোনা টিকার বুস্টার ডোজ
ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রায় ৭০-৭৫% কার্যকরী।
সবাই স্বাস্থ্য বিধি পুরোপুরি মেনে চলুন। সাবধানে থাকুন,
জীবন বাঁচান।
***সতর্কবাণী: এই পূর্বাভাস আগের ঢেউয়ের ধারা ও বিশ্বের
অন্যান্য দেশের সংক্রমণের তথ্যের উপর ভিত্তি করে দেওয়া
হচ্ছে। এই পূর্বাভাস যে ১০০% সঠিক হবে তার কোন নিশ্চয়তা
নেই। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে ১০০% সঠিক পূর্বাভাস
দেওয়া কঠিন।
২০২১/১২/২৫ঃ
ওমিক্রনের
নতুন তথ্য: সারা বিশ্বে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা
ভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ। এর মাঝে নতুন
কিছু তথ্য এসেছে হাতে।
১. ভারতের তথ্য অনুযায়ী ওমিক্রনে সংক্রমিত রোগীদের ৭০% এর
কোন উপসর্গ নেই। ওমিক্রনে সংক্রমিত রোগীদের ৯১% টিকার দুই
ডোজ নিয়েছিল। মানে, টিকার দুই ডোজ নিলেও যে কেউ ওমিক্রনে
সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
২. ওমিক্রনে সংক্রমিত রোগীদের অধিকাংশের উপসর্গ ডেল্টার
চেয়ে মৃদু। অধিকাংশের উপসর্গ সাধারণ সর্দিকাশির মত।
কিন্তু এখনো ওমিক্রনের ঢেউ পুরোপুরি শুরু হয়নি। আরো
কিছুদিন পরে ওমিক্রনের আসল চেহারা বোঝা যাবে।
৩. অধিকাংশ দেশে করোনার পরবর্তী ঢেউ শুরু হয়েছে। যে কোন
দেশে ওমিক্রনের ঢেউ শুরু হলে দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়াতে
থাকবে। ***উপসর্গ মৃদু হলেও প্রচুর রোগী সামলাতে
হাসপাতালগুলো হিমশিম খাবে।***
আপডেটঃ ২০২১/১২/২২ঃ সারা বিশ্বে দ্রুত
গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের
সংক্রমণ। এখনো ওমিক্রন নিয়ে পর্যাপ্ত গবেষণার ফলাফল
প্রকাশিত হয়নি। এ পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গেছে তার উপর
ভিত্তি করে এখানে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সারমর্ম দেওয়া হলো। ১. কমিউনিটি ট্রান্সমিশনঃ
জাপানে খুব সম্ভবত করোনা ভাইরাসের অতি সংক্রামক
ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়েছে।
আজ ওসাকাতে তিনজন এ রকম করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। ২. করোনার ঢেউ:
জাপানে খুব সম্ভবত করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ষষ্ঠ ঢেউ শুরু
হয়েছে। যুক্তরাজ্যের তথ্য ও আগের ঢেউগুলোর ধারা বিবেচনায়
নিলে পিকের কাছাকাছি সময়ে জাপানে প্রতিদিন ৩০,০০০-৫০,০০০
জন, বাংলাদেশে প্রতিদিন ২০,০০০-৪০,০০০ জন এবং ভারতে
প্রতিদিন ৫লক্ষ-১০ লক্ষ জন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার
সম্ভাবনা আছে। জাপানে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে পিক হওয়ার
সম্ভাবনা আছে। তবে এ সকল দেশে কত দ্রুত বুস্টার ডোজ দেওয়া
হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে এ পূর্বাভাস পরিবর্তিত হতে পারে।
৩. টিকার কার্যকারিতা:
অধিকাংশ গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী বাজারের কোন টিকারই দুই
ডোজ ওমিক্রনের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত সুরক্ষা দিবে না। বড়জোর
১০%-৪০% সুরক্ষা দিবে; মানে, টিকার দুই ডোজ নিলেও ওমিক্রনে
সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি ৬০%-৯০%। তবে কিছু কিছু গবেষণায়
বলা হচ্ছে যে, করোনা ভাইরাসের টিকার দুই ডোজ নিলে করোনা
ভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হলেও গুরুতর
অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি ৭০% কমাবে; মানে, টিকার দুই ডোজ নিলেও
গুরুতর অসুস্থ কিংবা মৃত্যু হওয়ার ঝুঁকি ৩০% রয়ে গেছে।
এজন্য সবাই বলছে যে, বুস্টার ডোজ নিতে। এ পর্যন্ত প্রকাশিত
গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, বুস্টার ডোজ করোনা ভাইরাসের
ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের বিরুদ্ধে ৭০-৭৫%
কার্যকরী। বিস্তারিতঃ Source
1 | Source
2
২০২১/১২/১৫ঃ করোনার অমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের
আপডেট:::
করোনা ভাইরাসের অমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট আসছে! বিভিন্ন দেশ
প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে পর্যাপ্ত গবেষণার
ফলাফল এখনো প্রকাশিত হয়নি। এ পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গেছে
তার উপর ভিত্তি করে নিচে সারসংক্ষেপ দেওয়া হলো।
১. শনাক্ত: এ পর্যন্ত বিশ্বের ৬৩টি দেশে করোনার অমিক্রন
ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে
ডেল্টার থেকে বেশি দেশে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা আছে।
বিস্তারিত
২. মৃত্যু: যুক্তরাজ্যে এই প্রথম একজন করোনা ভাইরাসের
অমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। বিস্তারিত
৩. বিভিন্ন দেশ কী বলছে:
যুক্তরাজ্যের (UK) বিজ্ঞানীরা বলছেন যে, আগামী এপ্রিল
মাসের শেষ নাগাদ যুক্তরাজ্যে ২৫,০০০-৭৫,০০০ মানুষ করোনা
ভাইরাসের অমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে
পারে। বিস্তারিত
৪. উপসর্গ: এখনো পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গেছে সেই তথ্য
অনুযায়ী, অমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর উপসর্গ মৃদু। শারীরিক
দুর্বলতা (Fatigue), মাথা ব্যথা, গলাব্যথা/গলা চুলকানি (?)
(Scratchy throat), হালকা জ্বর, গায়ে ব্যথা ও রাতে গা
থেকে ঘাম বের হওয়া, শুকনো কাশি। এখনো পর্যন্ত গুরুতর
উপসর্গের তথ্য পাওয়া যায়নি।
বিস্তারিত
৫. টিকার কার্যকারিতা: টিকা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের
তথ্য অনুযায়ী টিকার দুই ডোজ অমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে
যথেষ্ট কার্যকরী নাও হতে পারে। ফাইজারের দেওয়া তথ্য
অনুযায়ী করোনা ভাইরাসের অমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ
ঠেকাতে টিকার তৃতীয় ডোজ দরকার। ফাইজারের টিকার দুই ডোজ
নাকি অমিক্রনের বিরুদ্ধে মাত্র ২৩% কার্যকরী। মডার্নাও একই
কথা বলছে। বিস্তারিত
এখানে উল্লেখ্য যে, অমিক্রনের ঢেউ যখন শুরু হবে তখন অনেকের
টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর পাঁচ-ছয় মাস হয়ে যাবে বলে
এমনিতেই টিকা কর্তৃক দেহে তৈরি এন্টিবডির পরিমাণ কমতে শুরু
করবে। কাজেই তারা ঝুঁকিতে থাকবে।
৬. কারা বেশি আক্রান্ত হবে: খুব সম্ভবত যারা টিকা নেননি
তারা ও শিশুরা।
২০২১/৮/১৯ঃ করোনা টিকার বুস্টার ডোজঃ
আমেরিকাতে ও জাপানে ফাইজার ও মর্ডানা কর্তৃক উদ্ভাবিত
করোনা ভাইরাসের টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার আট মাস পর থেকে
বুস্টার ডোজ দিবে। কাজেই টিকার তৃতীয় ডোজ নেওয়ার জন্য
প্রস্তুত থাকুন।
বাংলাদেশে
করোনা
ভাইরাস সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ সম্পর্কিত পূর্বাভাসের
মূল্যায়ন নিয়ে বাংলাদেশের জনপ্রিয় পত্রিকা মানবজমিনের
বিস্তারিত প্রতিবেদন।বিস্তারিতঃ
মানবজমিন (২০২১/৮/১৫)
২০২১/৮/১৯ঃ আজ জাপানে রেকর্ড সংখ্যক করোনা রোগী
শনাক্ত হয়েছে। জাপানের ২২টি প্রিফেকচারে রেকর্ড সংখ্যক
করোনা রোগী শনাক্ত।
Maintain Social
Distancing! Stay at Home! Save Lives!
২০২১/৯/২৩ঃ
পরিসমাপ্তি
টানছি বাংলাদেশের তৃতীয় ঢেউ আর জাপানের পঞ্চম ঢেউ নিয়ে
দেওয়া আমার পূর্বাভাসের। প্রায় ১০০% সঠিক পূর্বাভাস
দিয়েছিলাম। এটা জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ গবেষণা! বর্তমানে
বাংলাদেশে শনাক্তের হার পাঁচ শনাক্তের নীচে, মানে
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এরপরেও বাংলাদেশের জনগণকে
টিকা নিতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এদিকে বাংলাদেশে
চতুর্থ ঢেউ ঠিক কবে শুরু হবে তা নিয়ে অক্টোবর মাসের
শেষের দিকে একটা ধারণা পাওয়া যেতে পারে। চতুর্থ ঢেউয়ের
সময় ফ্যাক্টর হবে টিকাহীন ব্যক্তিরা,শিশুরা ও খুব
সম্ভবতঃ মিউ ভ্যারিয়্যান্ট। কেবল তৃতীয় ঢেউ স্বাভাবিক
অবস্থায় ফিরছে; কাজেই আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
অন্যান্য দেশের পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে হবে। এর জন্য
ব্যাপক গবেষণা ও সময় প্রয়োজন। বাংলাদেশের
তৃতীয় ঢেউ নিয়ে দেওয়া পূর্বাভাসের মূল্যায়ন নিয়ে
মানবজমিন পত্রিকার প্রতিবেদন (২০২১/৮/১৫) বাংলাদেশের
তৃতীয় ঢেউ সংক্রান্ত পূর্বাভাসের তারিখ ও পূর্বাভাসঃ
মে ১৯, ২০২১ঃ আগামী এক-দুই মাসের ভিতর বাংলাদেশে করোনা
ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ শুরু হবে। জুন ২৭, ২০২১ঃ জুলাই ১৪ থেকে
২৮ তারিখের ভিতরে তৃতীয় ঢেউয়ের পিক হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আর
সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে সংক্রমণ স্বাভাবিক
অবস্থায় আসার সম্ভাবনা আছে। জাপানের
পঞ্চম ঢেউ সংক্রান্ত পূর্বাভাসঃ
জুলাই ১৪, ২০২১ঃ জাপানে খুব সম্ভবতঃ পঞ্চম ঢেউ শুরু হয়েছে
এবং আগষ্ট মাসের ৭ তারিখ থেকে ২১ তারিখের ভিতরে পঞ্চম
ঢেউয়ের পিক হবে। বাংলাদেশের
প্রথম ঢেউয়ের পূর্বাভাস নিয়ে মানব জমিন পত্রিকার
প্রতিবেদন (২০২০/৯/১৫)
করোনা ভাইরাসের টিকা নিন আর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। ভালো
থাকুন, সুস্থ থাকুন। (তপন পাল, পিএইচডি; টোকিও,
জাপান)
পূর্বাভাসঃ জাপানে
পঞ্চম ঢেউয়ের পিকের সম্ভাব্য সময়ঃ আগষ্ট ৭ থেকে ২১ তারিখের
ভিতরে (জুলাই ১৪) ।
২০২১/৮/১২ঃ আজ জাপানে রেকর্ড ১৮,৮২২ জন করোনা রোগী
শনাক্ত! টোকিওতে ৪,৯৮৯ জন, ওসাকাতে রেকর্ড ১,৬৫৪ জন,
সাইতামা তবে রেকর্ড ১,৫২৮ জন, চিবাতে ১,০৩৮ জন, আইচিতে
রেকর্ড ৭০৩ জন, হিয়োগোতে রেকর্ড ৭২৮ জন, ফুকুওকাতে রেকর্ড
১,০৪০ জন, ওকিনাওয়াতে রেকর্ড ৭৩২ জন করোনা রোগী শনাক্ত
হয়েছে।
টিকা নেওয়ার পর করোনায় আক্রান্তঃ জাপানে ফাইজার ও
মডার্নার তৈরি টিকা দেওয়া হচ্ছে। জাপানে এ পর্যন্ত প্রায়
৪.৯ কোটি ব্যক্তি করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়েছে। তারমধ্যে
মাত্র ৬৭ জন টিকা নেওয়ার পরও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত
হয়েছে। কিন্তু কারোরই উপসর্গ মারাত্মক ছিল না (জুলাই ৩১)
।
২০২১/৭/২৭ঃ
করোনা ভাইরাসের টিকাঃ করোনা ভাইরাসের কোন টিকাই আপনাকে
১০০% সুরক্ষা দিবে না। তবে টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের করোনা
ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মৃত্যু ঝুঁকি, চরম শারীরিক অবস্থার
অবনতির ঝুঁকি কিংবা গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তির
ঝুঁকি কমাবে। কেউ করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়েছে মানে এই নয়
যে সেই ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও মৃত্যু ঝুঁকি
একেবারেই নেই কিংবা গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি একেবারেই
নেই। জাপানে কিংবা বাংলাদেশে টিকা না নিয়ে কোন ব্যক্তি
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মৃত্যুর সম্ভাবনা ১.৬৪-১.৭৫%
আর টিকা দিলে সে সম্ভাবনা ০.৪% এ নেমে আসবে। আর ফাইজারের
টিকা ডেল্টা ধরণের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে রোগীর
গুরুতর অসুস্থতা ঠেকাতে ৮৮-৯১% কার্যকরী হলেও সংক্রমণ
ঠেকাতে মাত্র ৩৯% কার্যকরী; মানে, ফাইজারের টিকা নিলেও
ডেল্টা ধরণের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৬১%।
আবার সিঙ্গাপুরে গত এক মাসে ৭৪% রোগী করোনা ভাইরাসের টিকা
নিয়েও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
কাজেই টিকা নিন। কিন্তু টিকা নিলেও আপনাকে স্বাস্থ্যবিধি
পুরোপুরি মেনে চলতে হবে। টিকা নিয়েছেন বলে ১০০% সুরক্ষা
পেয়েছেন ভাবলে ভুল করবেন; জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হবে।
অতিরিক্ত তথ্যঃ Reuters
| CNBC
| Hindustan
Times
২০২১/৭/১৫ঃ
জাপানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের খুব সম্ভবতঃ পঞ্চম ঢেউ শুরু
হয়েছে কিংবা হতে যাচ্ছে। জাপানের বিভিন্ন এলাকায় করোনা
সংক্রমণ বাড়ছে।
বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ ও
চতুর্থ ঢেউয়ের সম্ভাব্য পিক সময় (পূর্বাভাস):
বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের মোটামুটি একটা
ধারণা দিচ্ছি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে (টেস্টের সংখ্যা,
টিকাকরণ, লকডাউন ইত্যাদির কারণে) এই পূর্বাভাস
পরিবর্তিত হতে পারে।
১। তৃতীয় ঢেউয়ের সম্ভাব্য পিকঃ বাংলাদেশে করোনার তৃতীয়
পিক আগামী জুলাই ১৪-২৮, ২০২১ এর মধ্যে হওয়ার সম্ভাবনা
আছে। আর পিকে পৌঁছানোর দেড়-দুই মাসের ভিতরে, মানে
সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে স্বাভাবিক অবস্থায় আসার
সম্ভাবনা আছে।
২। চতুর্থ ঢেউয়ের সম্ভাব্য পিকঃ আর চতুর্থ ঢেউয়ের পিক
নভেম্বর মাসে হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
বাংলাদেশে তৃতীয় পিক কমার সাথে সাথে ব্যাপকহারে করোনা
ভাইরাসের টিকা দেওয়া উচিত। জাপানের মত প্রয়োজনে উপজেলা
পর্যায়ে বিশাল টিকাকরণ ক্যাম্প স্থাপন করে গণহারে টিকা
দেওয়া যেতে পারে।
বি.দ্র.: উপরের তথ্য হলো একটা পূর্বাভাস যেটা সঠিক হবার
কোন নিশ্চয়তা নেই। কাজেই এই তথ্য ব্যবহার করে কোন
পরিকল্পনা করলে তাতে কোন ক্ষতি হলে তার জন্য নিম্নলিখিত
গবেষক কোনভাবেই দায়ী নয়। এই পূর্বাভাস তৈরির সময় জাপান,
ভারত ও বাংলাদেশের তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। ১০০% সঠিক
পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন। তবে উপরের পূর্বাভাস কাছাকাছি যাবে
বলে আমি আশাবাদী।
----
এ পর্যন্ত পূর্বাভাসের মূল্যায়নঃ
১। বাংলাদেশের প্রথম ঢেউয়ের সময় (মার্চ-সেপ্টেম্বর,
২০২০)ঃ (ক) মৃতের সংখ্যার রেঞ্জঃ সঠিক ছিল;
(খ) পিকের সময়ঃ কাছাকাছি; (গ) শনাক্তের সংখ্যাঃ
কাছাকাছি (ঘ) প্রতিদিনের শনাক্তের সংখ্যার পূর্বাভাস
(এপ্রিল-মে, ২০২০)ঃ অধিকাংশ দিন কাছাকাছি ছিল। বিস্তারিতঃ
মানব
জমিন (২০২০/৯/১৬)
২। জাপানের দ্বিতীয় পিকের পূর্বাভাসঃ সঠিক ছিল; প্রতিদিনের
শনাক্তের সংখ্যার পূর্বাভাসঃ অধিকাংশ দিন কাছাকাছি
ছিল (নিচে দেখুন)
৩। বাংলাদেশের তৃতীয় ঢেউয়ের পূর্বাভাসঃ ঢেউ শুরুর রেঞ্জ
সঠিক (মে ২১ তারিখের পূর্বাভাসঃ আগামী এক-দুই মাসের মধ্যে
তৃতীয় ঢেউ শুরু হবে।)
Research conducted by
Topon Paul, PhD. Tokyo, Japan, 2021/6/29.
২০২১/৬/২০ঃ করোনা ভাইরাস সংক্রমণের তৃতীয়
ঢেউয়ের মোকাবেলায় বাংলাদেশের নীতি-নির্ধারকদের সর্বোচ্চ
প্রস্তুতি নিয়ে রাখবে হবে। শুধু লকডাউন নয়, সাধারণ মানুষ
যাতে করোনায় আক্রান্ত হলে সঠিক চিকিৎসা সেবা পেতে পারে সে
প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। ভারতের দ্বিতীয় ঢেউ থেকে আমাদের
অনেক শিক্ষনীয় বিষয় আছে। বাংলাদেশে অনেকেই সামাজিকভাবে
একঘরে হয়ে যাওয়ার ভয়ে করোনার টেস্ট করাতে ভয় পায়; ভাবে যে
করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাড়া-প্রতিবেশীরা জেনে গেলে আর
সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে না। এর ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি
নিজেও তার জীবনকে ঝুঁকুপূর্ণ করছে, তার নিজের পরিবারের
অন্যদের আক্রান্ত করার সম্ভাবনা থাকছে আর অন্যদের জীবন
ঝুঁকিপূর্ণ করতে পারে।
২০২১/৬/১৭ঃ AI (Artificial Intelligence)
কতটা সঠিক! গতকাল আমার AI পূর্বাভাস দিয়েছিল যে আজ
বাংলাদেশে ৩,৮৩১জন করোনা রোগী শনাক্ত হবে। প্রকৃতপক্ষে আজ
শনাক্ত হয়েছে ৩,৮৪০জন। (গবেষণা করার সময়ের অভাবে তৃতীয়
ঢেউয়ের সময় পূর্বাভাস দিচ্ছি না। সবাই ক্ষমা-সুন্দর
দৃষ্টিতে দেখবেন।)
২০২১/৬/১৬ঃ বাংলাদেশে
তৃতীয় ঢেউ আসছে। আগামী এক মাসের মধ্যেই এই ঢেউ পিকে
পৌঁছানোর সম্ভাবনা আছে। এই ঢেউ হবে মারাত্মক। অতি
সংক্রামক ভারতীয় স্ট্রেইনের করোনা ভাইরাসে প্রচুর
রোগী আক্রান্ত হবে। ভারতের সংক্রমণের তথ্য অনুযায়ী
প্রচুর অল্প বয়সীরাও আক্রান্ত হবে। সবাইকে যথাযথভাবে
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। (মে ২১ তারিখের দিকে এখানে
তৃতীয় ঢেউয়ের পূর্বাভাস দিয়েছিলাম।)
২০২১/৬/১৩ঃ আগামী সপ্তাহ থেকে
জাপানের বিভিন্ন মিউনিসিপ্যালিটি (সিটি
অফিস) ৬৫ বছর বয়সের নীচের সাধারণ জনগণকে
করোনা ভাইরাসের টিকার কুপন পাঠাবে। বয়সের
নিম্নক্রম অনুযায়ী কুপন পাঠাবে। আপনার সিটি অফিসে
খোঁজ নিন। অফিসের কর্মস্থলে কিংবা হাসপাতালে টিকা
নেওয়ার সময় এই টিকার কুপন লাগবে; কাজেই এই কুপন
সাবধানে রাখুন। এই মাসের ২১ তারিখ থেকে বিভিন্ন
অফিসে করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু হতে পারে।
২০২১/৫/২৯ঃ করোনার
টিকা নেওয়ার জন্য জাপানের বিভিন্ন কোম্পানী
কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের টিকার নেবার দিন ও টিকা
নেবার পরের দিন বেতনসহ ছুটি (paid leave)
দেবার সম্ভাবনা আছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন কোম্পানী এ
সম্পর্কিত ঘোষণা দিয়েছে।
২০২১/৫/৭ঃ
গত
২৪ ঘন্টায় জাপানে রেকর্ড সংখ্যক (১৪৮জন)
করোনা রোগী মারা গেছে। ওসাকাতে রেকর্ড ৫০ জন এবং
হিয়োগোতে রেকর্ড ৩৯জন করোনা রোগী মারা গেছে।
২০২০/৪/১৯ঃ বেড়েই চলেছে মৃত্যু! আজ বাংলাদেশে
মৃতের সংখ্যায় রেকর্ড (১১২ জন)।
২০২০/৪/৭ঃ
শনাক্তের সংখ্যায় নতুন রেকর্ড (৭,৬২৬জন)।
বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ
কেড়ে নিল যে বিশিষ্টজনদেরঃ কবরী, আবদুল মতিন খসরু, মিতা
হক, ইন্দ্রমোহন রাজবংশী,...।
২০২০/৪/৩ঃ
বাংলাদেশে লকডাউন! সঠিক সিদ্ধান্ত! মহামারীর সময়ে রোগের
বিস্তার বৈজ্ঞানিক সূত্র মেনে চলে। যখন সংক্রমণ
ঊর্ধ্বমুখী তখন বাড়তেই থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত না লকডাউন
কিংবা জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। AI একই কথা বলে। উন্নত
দেশ হোক আর উন্নয়নশীল দেশ হোক, সবখানেই সংক্রমণ ঠেকানোর
একমাত্র উপায় লকডাউন। যারা টিকা নিয়েছেন তারাও সাবধানে
থাকুন। টিকা নেওয়ার পরও মানুষ আবার করোনায় আক্রান্ত
হয়েছে, মারাও গেছে। জীবন আপনার হাতে! স্বাস্থ্যবিধি
মেনে চলুন। মাস্ক পড়ুন। সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায়
রেখে চলুন। পার্টি করা থেকে বিরত থাকুন।
Vaccine
Infections in Japan
Infections in
Bangladesh
০২০/২/১০ঃ গত ২৪ ঘন্টায়
জাপানে রেকর্ড ১২১জন করোনা রোগী মারা গেছেন।
২০২০/২/৩ঃ গত ২৪ ঘন্টায়
জাপানে রেকর্ড ১২০জন করোনা রোগী মারা গেছেন। টোকিওতে
রেকর্ড ৩২জন, কানাগাওয়াতে রেকর্ড ১৯ মারা গেছেন।
২০২০/২/২ঃ গত ২৪ ঘন্টায়
জাপানে রেকর্ড ১১৯ জন করোনা রোগী মারা গেছেন। টোকিওতে
রেকর্ড ২৩জন, চিবাতে রেকর্ড ১৪ মারা গেছেন।
২০২০/১/২৮ঃ গত ২৪ ঘন্টায়
জাপানে রেকর্ড ১১৩ জন করোনা রোগী মারা গেছেন। টোকিওতে
রেকর্ড ২০জন মারা গেছেন।
২০২০/১/২২ঃ গত ২৪ ঘন্টায়
জাপানে রেকর্ড ১০৮ জন করোনা রোগী মারা গেছেন।
২০২০/১/১৯ঃ
গত ২৪ ঘন্টায় জাপানে রেকর্ড ১০৪ জন করোনা রোগী মারা গেছেন।
আর রেকর্ড ১,০০১ জন করোনা রোগী গুরুতর অসুস্থ।
২০২০/১/১৬ঃ ভারতে আজ
থেকে করোনার টিকার দেওয়া শুরু হয়েছে।
২০২১/১/১৩ঃ গত ২৪
ঘন্টায় জাপানে রেকর্ড ৯৭জন করোনা রোগী মারা গেছেন।
২০২১/১/৯ঃ
কানাগাওয়া
প্রিফেকচারে করোনা পজিটিভ ষাটোর্ধ্ব এক রোগী বাসায়
একাকী চিকিৎসাধীন অবস্থায় হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়ে
মারা গেছেন। জানুয়ারী ৬ তারিখে রোগীর এক আত্মীয় বাসায় এসে
দেখে যে সে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। এর আগেও কানাগাওয়া
প্রিফেকচারে হোটেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক করোনা পজিটিভ
রোগী একইভাবে মারা গিয়েছিলেন। জাপান প্রবাসী যারা একাকী
বাসায় থাকেন তারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে খুব সাবধানে
থাকবেন।
২০২/১/৮ঃ জাপানে
শনাক্তঃ ৭,৮৮২ জন (রেকর্ড); মৃত্যুঃ ৭৮ জন (রেকর্ড) ।
২০২/১/৭ঃ জাপানে
শনাক্তঃ ৭,৫৩৩ জন (রেকর্ড); মৃত্যুঃ ৬৫জন। টোকিও,
কানাগাওয়া, সাইতামা, চিবা, ওসাকা, আইচি, ফুকুওকা সহ
বিভিন্ন প্রিফেকচারে রেকর্ড সংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত!
টোকিওতে নাকি তিনজন
করোনা রোগী এ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে
মৃত্যু হয়েছে। আর এই জাপানে এ পর্যন্ত শতাধিক করোনা রোগী
হাসপাতালে ভর্তির জন্য অপেক্ষারত অবস্থায় শারীরিক অবস্থা
হঠাৎ করে খারাপ হওয়ায় বাসাতেই মৃত্যু হয়েছে। করোনার
উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর থেকে টেস্ট করে রেজাল্ট পাওয়া
পর্যন্ত সময়টা ক্রিটিক্যাল।
২০২১/১/৫ঃ জাপানে শনাক্তঃ ৪৯০৭ (রেকর্ড); মৃত্যুঃ
৭৬ (রেকর্ড) ! এই সপ্তাহে বৃহত্তর টোকিও এলাকায় এক মাসের
জন্য জরুরি অবস্থা জারি করতে পারে।
করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর থেকে টেস্টের
রেজাল্ট হাতে পাওয়া পর্যন্ত সময় লাগবে। এই সময়টা
ক্রিটিক্যাল; একটু এদিক-ওদিক হলেই জীবন বিপন্ন হতে পারে।
রেজাল্টের উপর ভিত্তি করে ডাক্তার ওষুধ দিবে;এই জাপানে
ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ কেনা যায় না। কিছু
এলাকায় করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত বেডের মাত্র ২০% খালি
আছে। কাজেই জরুরি অবস্থার সময় বাইরে আনন্দ-ফুর্তি না করে
ঘরে থাকুন, নিজে বাঁচুন, অপরকে বাঁচতে দিন।
করোনা মহামারীর আগামী দিনগুলোঃ সম্ভাব্য
ঘটনা (২০২০/১২/১৫)
১। আগামী পাঁচ-ছয়মাস
করোনা মহামারীর ক্রান্তিকাল! এই সময়ে প্রচুর মানুষ
আক্রান্ত ও মারা যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। কেন? কারণ টিকা
বাজারে এসেছে তাই আর চিন্তা নেই ভেবে প্রচুর মানুষ ঘরের
বাইরে বেরিয়ে আসবে এবং করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবে। বেশি
আক্রান্ত মানে বেশি সংখ্যক মৃত্যুর সম্ভাবনা।
২। টিকা দিলেই সাথে
সাথে দেহে ইমিউনিটি তৈরি হবে না। টিকা দেওয়ার কয়েক সপ্তাহ
পরে দেহে ইমিউনিটি তৈরি হবে। টিকা দেওয়ার আগে কিংবা টিকা
দেওয়ার অব্যবহিত পরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি
থাকবে কারণ দেহে তখনও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেনি।
কাজেই টিকা দেওয়ার পরেও কয়েক সপ্তাহ সাবধানে থাকতে হবে।
বিস্তারিত CDC.gov।
আর আক্রান্ত হলে এখনকার মত Repurposed Medicine খাওয়া
লাগবে।
৩। বিভিন্ন দেশে সাধারণ
জনগণ টিকা পেতে আরো চার মাস থেকে এক বছর লাগতে পারে। টিকা
বাজারে এসেছে মানে এই নয় যে কোটি কোটি মানুষকে এখনই টিকা
দেওয়া যাবে। টিকা উৎপাদন ও সরবরাহে প্রচুর সময় লাগবে। আবার
টিকা সংরক্ষণের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ লাগবে। আবার প্রত্যেক
দেশেই প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক ও ঝুঁকিপূর্ণ
ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দিবে। সাধারণ জনগণ
টিকা পেতে সময় লাগবে।
৪। করোনা ভাইরাসের
টিকার বিভিন্ন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া আস্তে আস্তে বোঝা যাবে।
আপনারা ইতিমধ্যে জেনে গেছেন যে Pfizerএর করোনা টিকার
এলার্জির পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা আছে।
বিস্তারিতঃ CNN.com
। যাদের আগে থেকেই Anaphylaxis
নামক এলার্জির সমস্যা আছে তাদের এ টিকা নেওয়ার ব্যাপারে
সতর্কতা জারি করা হয়েছে। করোনা
ভাইরাসের টিকার বিভিন্ন তথ্য এখানে
৫। হার্ড ইমিউনিটি তৈরি
হতে ৬০-৭০% মানুষের দেহে ইমিউনিটি তৈরি হতে হবে। এখনো
বহুদূর!
করোনার প্রভাবে
অর্থনৈতিক ও মানসিক ক্ষতি
করোনা মহামারীর কারণে
জাপানে প্রায় ৮০০ কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে গেছে। জাপানে
২১.৫ লক্ষ মানুষ বেকার; বেকারত্বের হার ৩.১%। করোনা
মহামারীর আগে বেকারত্বের হার ছিল ২.২%। সবচেয়ে বেশি
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চাকুরিজীবী মহিলারা। কেউ কেউ চাকরি
হারিয়ে আত্মহত্যা করেছে। গত অক্টোবর মাসে জাপানে ২,১৫৩ জন
আত্মহত্যা করেছে। বেদনাদায়ক! বিস্তারিতঃ NHK
News (Bankrupt) | NHK
News (Unemployment Rate) | Japan
Times | CNN
| Stat.go.jp
Japan
COVID-19 Dashboard
জাপানে করোনা ভাইরাস
সংক্রমণের পরিসংখ্যান Corona Virus Infections
in Japan
(As of 2021/11/21 19:48 JST) Source:
MHLW |
NHK
মোট (আক্রান্ত+মৃত)
Total Infections
(Includes Patients of Cruiseship: 712)
1,726,830 (+143)
মৃত Deaths
18,359 (+0)
সুস্থ হয়ে উঠেছে Recovered
1,706,557 (+254)
এখনো হাসপাতালে ভর্তি
Still Hospitalized (as of 11/21 00:00)
1,552 (-25)
অবস্থা আশংকাজনক
(মারাত্মক উপসর্গ) Serious Conditions (in ICU/
Ventilator)
62 (-0)
Highest :2,223 (9/4)
Total
Persons Tested
27,448,895 (+53,521)
Total corona
virus tests
(Feb 18,2020-Nov 18,2021)
আমেরিকার
CDC
বিভিন্ন গানিতিক মডেলের উপর ভিত্তি করে করোনা ভাইরাসে
আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ও মৃত্যু সংখ্যা নিয়ে একটা হিসাব
দিয়েছে। তারা বলছে ১৬ কোটি থেকে ২১.৪ কোটি মানুষ করোনা
ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে আর ২লক্ষ থেকে ১৭ লক্ষ মানুষ
মারা যেতে পারে। সবাই ১৯১৮ সালের Spanish Fluর উদাহরণ
টানছে; সেই সময় আমেরিকাতে ৬,৭৫,০০০ মানুষের মৃত্যু
হয়েছিল।
CDCর হিসাব অনুযায়ী আমেরিকাতে ২৪ লক্ষ থেকে ২.১ কোটি
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে
চিকিৎসা সেবা দিতে হতে পারে যেটা প্রায় অসম্ভব কারণ
আমেরিকার হাসপাতালগুলোতে এখন নাকি প্রায় ৯, ২৫,০০০ বেড
আছে। Details:
NYT
(2020/3/13)
চাকরির
অবস্থা Jobs Situation
১। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO) এর হিসেব
অনুযায়ী করোনা ভাইরাস মহামারীর প্রভাবে সারা বিশ্বে
প্রায় ২.৫ কোটি মানুষ চাকরি হারানোর সম্ভাবনা আছে। বিস্তারিতঃ
ILO.org
Power of
Artificial Intelligence
AI Forecast পূর্বাভাস
(Positive Cases)
End of Forecasting!
Evaluation
of AI Forecast
Date
Actual
Forecast
(Range)
8/14
1,358
1,406 (1,265-1,547)
8/13
1,176
1,243(1,053-1,433)
8/10
833
1,240(1,106-1,373)
8/9
1,444
1,334 (1,213-1,455)
8/8
1,568
1,515 (1,369-1,660)
8/7
1605
1,789 (1,670-1,907)
8/6
1485
1,584 (1,433-1,736)
8/5
1,357
1,474 (1,356-1,592)
8/4
1,239
1,536 (1,374-1,698)
8/3
958
1,161 (994-1,328)
8/2
1,332
1,298 (1,172-1,490)
8/1
1,536
1,434 (1,303-1,558)
7/31
1,580
1,104 (960-1,318)
7/30
1,301
1,283 (1,092-1,483)
7/29
1,264
1,106 (958-1,254)
7/28
981
848 (749-946)
7/27
599
913 (814-1,011)
7/26
835
741 (645-838)
7/25
803
738 (642-835)
7/24
777
964 (874-1,053)
7/23
981
919 (829-1,009)
7/10
430
About 400
১। গত জুলাই ১৫ তারিখে পূর্বাভাস ছিল যে
জাপানে এই মাসের মধ্যেই করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা এক
হাজারের কাছাকাছি চলে যাবে। আজ সেই পূর্বাভাস সঠিক বলে
প্রমাণিত! আজ ৯৮১জন করোনা রোগী শনাক্ত।
২। আজকের (জুলাই ২৩
তারিখের) পূর্বাভাস ছিল ৯১৯জন (রেঞ্জঃ
৮২৯-১০০৯)(গতকালের গ্রাফের নীল অংশ) । প্রকৃত করোনা রোগী
শনাক্তের সংখ্যা ৯৮১জন।
৩। জুলাই ২২ তারিখের
পূর্বাভাস ছিল ৭১৬ জন (রেঞ্জঃ ৬২৬-৮০৫)। প্রকৃত
করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা ৭৯৫জন।
৪। জুলাই ২ তারিখে
পূর্বাভাস ছিল যে পরের সপ্তাহে ৪০০জনের কাছাকাছি করোনা
রোগী শনাক্ত হবে। গত জুলাই ১০ তারিখে জাপানে ৪৩০ জন
করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
৫। জুলাই ২ তারিখে
পূর্বাভাস ছিল যে জাপানে দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হচ্ছে। গতকালই
শনাক্তের সংখ্যা (৭৯৫জন) প্রথম ঢেউয়ের পিক (৭২০জন)
অতিক্রম করেছে।
৬। বাংলাদেশে করোনা
ভাইরাসের সংক্রমণের প্রক্ষেপণ বিশেষ করে মৃতের সংখ্যার
প্রক্ষেপণ সঠিক হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে। গত এপ্রিল ২১
তারিখ রাতে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। ডানপাশে সেই
প্রক্ষেপণ দেখুন।
আইইডিসিআর
ও আইসিডিডিআরবির যৌথ জরিপের ফলাফল অনুযায়ী ঢাকায় করোনা
ভাইরাসে আক্রান্ত ৮০% রোগীর কোন উপসর্গ নেই।বিস্তারিতঃ
সময়টিভি
(আগষ্ট ১১,২০২০) । এপ্রিল ২১, ২০২০ তারিখে দেওয়া
নিচের প্রক্ষেপনে ঠিক এই পূর্বাভাসই দেওয়া হয়েছিল।
করোনা ভাইরাসের উপসর্গ
বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থা চীনের ৫৫,৯২৪ জন করোনা ভাইরাসে
আক্রান্ত রোগীর তথ্য বিশ্লেষণ করে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ
সম্পর্কে একটা ধারণা দিয়েছে। করোনা ভাইরাসের উপসর্গ হলো
সাধারণ সর্দিজ্বরের উপসর্গের মত। জাপানে যাদের শারীরিক
অবস্থা সংকটাপন্ন তাদের অনেকেরই শ্বাসকষ্ট হচ্ছে,
কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস-প্রশ্বাস দিতে হচ্ছে। WHO
Report
১.
জ্বর: ৮৭.৯% রোগীর এই উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। ২. শুকনো কাশি: ৬৭.৭% ৩. শারীরিক দুর্বলতা (ক্লান্তি ক্লান্তি ভাব):
৩৮.১% ৪. কাশির সাথে কফ (শ্লেষ্মা) বের হওয়া: ৩৩.৪% ৫. শ্বাসকষ্ট: ১৮.৬%
৬. মাংসপেশীতে/জয়েন্টে ব্যথা: ১৪.৮%
৭. গলাব্যথা: ১৩.৯%
৮. মাথাব্যথা: ১৩.৬%
৯. শীত শীত ভাব: ১১.৪%
১০. বমি বমি ভাব: ৫.০%
১১. নাক বন্ধ: ৪.৮%
১২. ডায়রিয়া: ৩.৭%
১৩. রক্ত মিশ্রিত কফ: ০.৯%
১৪. চোখের সংক্রমণ: ০.৮%
১৫. মেনিনজাইটিস: জাপানে এক রোগীর এই উপসর্গ দেখা
দিয়েছিল।
জাপানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত অনেক রোগীর কোন উপসর্গই
দেখা দেয়নি।
মৃত্যুহার (বয়স অনুযায়ী)
বয়স ৮০ বছরের বেশি: ১৪.৮%
বয়স ৭০-৭৯ বছর: ৮%
বয়স ৬০-৬৯ বছর: ৩.৬%
বয়স ৫০-৫৯ বছর: ১.৩%
বয়স ৪০-৪৯ বছর: ০.৪%
বয়স ৩০-৩৯ বছর: ০.২%
বয়স ২০-২৯ বছর: ০.২%
বয়স ১০-১৯ বছর: ০.২%
ভূমিকম্পের আপডেট
(২০২১/২/১৪ ১৪:৪২) : ফুকুশিমা ও মিইয়াগি এলাকার অবস্থাঃ
১. গতকাল (ফেব্রুয়ারী ১৩) রাত ১১টা ৭মিনিটে জাপানের
ফুকুশিমা ও মিইয়াগি প্রিফেকচারে (=জেলায়) মারাত্মক
শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। ২০১১ সালের মার্চ মাসের ১১
তারিখে ঠিক এই এলাকাতেই সেই বিধ্বংসী ভূমিকম্প, সুনামি ও
পারমাণবিক বিপর্যয় হয়েছিল। রিখটার স্কেলে গতকালের
ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৩ এবং ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের
নিকটবর্তী এলাকায় ঝাঁকুনির মাত্রা ছিল ৬+। সাইরেন বেজে
উঠেছিল।এই মাত্রার ঝাঁকুনিতে আপনি দাঁড়িয়ে থাকতে পারবেন
না; হামাগুড়ি দিয়ে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে
হবে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার
দূরে অবস্থিত বৃহত্তর টোকিও এলাকায় ঝাঁকুনির মাত্রা ছিল
৪। বাসা সাগরের ঢেউয়ের মতো দুলছিল।
এই ভূমিকম্পের পর বেশ কয়েকবার আফটার শকস হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে আগামী এক সপ্তাহে একই মাত্রার
শক্তিশালী আফটার শকস হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
২. এ পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে।
৩. জাপানের তোহোকু ও কানতো এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকায় লক্ষ
লক্ষ বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। কিছু কিছু জায়গায় বিদ্যুতের
খুঁটি হেলে পড়েছে।
৪. কিছু এলাকায় জল সরবরাহ নেই। গাড়িতে করে জল সরবরাহ
করছে।
৫. কিছু এলাকায় জল সরবরাহের পাইপ ফেটে জল বের হচ্ছে। কিছু
বাড়িতে বাড়ির ভিতরের জলের পাইপ ফেটে গেছে; ঘরের ভিতরে জল
পড়ছে।
৬. বেশ কিছু বাড়ি ও বিল্ডিংয়ের জানালার কাঁচ ভেঙে
পড়েছে।
৭. কিছু কিছু বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেওয়াল
ভেঙে পড়েছে।
৮. বেশ কিছু রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, রাস্তা ভেঙে গেছে।
কিছু এলাকায় ট্রেন চলাচল বন্ধ। বুলেট ট্রেন বন্ধ।
৯. ভূমিকম্পের অব্যবহিত পরে টেলি যোগাযোগ বিঘ্নিত হয়েছিল।
১০. মিইয়াগি ও ফুকুশিমা এলাকায় কিছু কিছু সুপার মার্কেট
বন্ধ। কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ নেই চলে লিফট বন্ধ।
২০২১/১/৬ঃ জাপানে শনাক্তঃ
৬,০০১ জন (রেকর্ড); মৃত্যুঃ ৬৫জন। টোকিও, সাইতামা, চিবা,
ওসাকা, আইচি, ফুকুওকা, হিয়োগো সহ ১৯টি প্রিফেকচারে রেকর্ড
সংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত! জানুয়ারী ৮ থেকে ফেব্রুয়ারী ৭
তারিখ পর্যন্ত বৃহত্তর টোকিও এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করার
সম্ভাবনা। জরুরি অবস্থা জারি করলেও খুব সম্ভবতঃ প্রাথমিক
বিদ্যালয় থেকে হাইস্কুল পর্যন্ত স্কুল খোলা থাকবে এবং
যথারীতি ক্লাস হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ ক্লাস হবে
অনলাইনে।
২০২০/১২/৩১ঃ বছরের শেষ দিনে
করোনা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি। রেকর্ড আর রেকর্ড! আজ
জাপানে রেকর্ড ৪,৫১৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। বৃহত্তর
টোকিও এলাকায় রেকর্ড। টোকিওতে রেকর্ড (১,৩৩৭জন), কানাগাওয়াতে
রেকর্ড (৫৮৮জন), সাইতামাতে রেকর্ড (৩৩০)জন, চিবাতে রেকর্ড
(২৫২জন)। ফুকুওকাতে রেকর্ড ১৯০জন করোনা রোগী শনাক্ত। আর
প্রতিদিন ৪০-৬০জন করে মারা যাচ্ছে। বৃহত্তর টোকিও এলাকায়
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার অনুরোধ।
২০২০/১২/২৮ঃ করোনা
ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৫৩ বছর বয়সে চলে গেলেন জাপানের
বর্তমান সংসদের উচ্চকক্ষে প্রধান বিরোধী দলের সেক্রেটারী
জেনারেলও প্রাক্তন মন্ত্রী। গত ডিসেম্বর ২৪ তারিখ থেকে
জ্বর ও শারীরিক অবস্থা খারাপ ছিল। গতকাল (ডিসেম্বর ২৭
তারিখে) করোনা ভাইরাসের টেস্ট করার কথা ছিল; টেস্ট করার
আগেই চিরদিনের জন্য চলে গেলেন না ফেরার দেশে ।জাপানে এই
প্রথম কোন সাংসদ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন।
Details: Asahi
Shimbun | NHK
News
২০২০/১২/২৬ঃ জাপানে আজও
রেকর্ড! পর পর চারদিন আগের দিনের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড
হয়েছে। আজ রেকর্ড ৩,৮৭৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর গত
২৪ ঘন্টায় ৪৭জন মারা গেছে। টোকিওতে রেকর্ড ৯৪৯জন করোনা
রোগী শনাক্ত। গত ছয় দিনে যথাক্রমে ৪৮জন, ৪৭জন, ৫৬জন, ৫৪
জন, ৬৩জন এবং ৪৭জন রোগী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে
মারা গেছে।
২০২০/১২/২৫ঃ আজ
শনাক্তের সংখ্যায় ও মৃতের সংখ্যায় দু'টোতেই নতুন রেকর্ড!
আজ জাপানে রেকর্ড ৩,৮২৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর গত
২৪ ঘন্টায় রেকর্ড ৬৩জন মারা গেছে। সাইতামা ও হিয়োগোতে
রেকর্ড সংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত। গত পাঁচ দিনে যথাক্রমে
৪৮জন, ৪৭জন, ৫৬জন, ৫৪ জন এবং ৬২জন রোগী করোনা
ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। গত ২৪ ঘন্টায় টেস্টের
সংখ্যা ৬৬,১৬০জন।
২০২০/১২/২৫ঃ জাপানে নতুন
স্ট্রেইনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত! যুক্তরাজ্য ফেরত পাঁচজনের
দেহে এই ভাইরাস শনাক্ত। নতুন স্ট্রেনের ভাইরাস ৭০ শতাংশের
বেশি সংক্রামক। বিস্তারিতঃJapan
Times (2020/12/25)
২০২০/১২/২৪ঃ চারিদিকে
রেকর্ড! আজ জাপানে রেকর্ড ৩,৭২৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত।
টোকিওতে (৮৮৮জন), কানাগাওয়াতে (৪৯৫জন), আইচিতে (২৭০ জন),
চিবাতে (২৩৪জন) রেকর্ড সংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত। আর গত ২৪
ঘন্টায় ৫৪জন মারা গেছে। গত চার দিনে যথাক্রমে ৪৮জন, ৪৭জন,
৫৬জন এবং ৫৩জন রোগী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
গত ২৪ ঘন্টায় টেস্টের সংখ্যা ৭৪,৫২৩জন।
২০২০/১২/২৩ঃ
রেকর্ড!রেকর্ড! জাপানে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যায় ও
মৃতের সংখ্যায় রেকর্ড! আজ জাপানে সর্বোচ্চ সংখ্যক (৩,২৬৮
জন) করোনা রোগী শনাক্ত আর গত ২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ সংখ্যক
(৫৬জন) করোনা রোগী মারা গেছে। গত তিনদিনে যথাক্রমে ৪৮জন,
৪৭জন, এবং ৫৬জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
২০২০/১২/১৭ঃ চারিদিকে
রেকর্ড! আজ জাপানে ৩,২১৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত; নতুন
রেকর্ড! টোকিওতে ৮২২ জন, নতুন রেকর্ড! কানাগাওয়াতে ৩১৯
জন, নতুন রেকর্ড! হিরোশিমাতে ১৩৮ জন, নতুন রেকর্ড!
মিইয়াগিতে ৫৪ জন, নতুন রেকর্ড! আর এখনো পর্যন্ত ৩৬ জন
মারা গেছে।
২০২০/১২/১৬ঃ গুরুতর
অসুস্থ রোগীর সংখ্যা সর্বোচ্চ (৬১৮জন)। টোকিও ও
কানাগাওয়াতে রেকর্ড সংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত। এদিকে
দক্ষিণ কোরিয়া ও জার্মানীতেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ
পরিস্থিতির অবনতি।
২০২০/১২/১৫ঃ গত ২৪
ঘন্টায় এ যাবত কালের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা
ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী মারা গেছেন। নতুন রেকর্ড! গত ২৪
ঘন্টায় ৫৩জন মারা গেছেন। আবার গুরুতর অসুস্থ রোগীর
সংখ্যায়ও রেকর্ড (৫৯২জন ) ।
২০২০/১২/১২ঃ হঠাৎ
মৃত্যু! করোনা ভাইরাস মারাত্মক রোগ! গতকাল কানাগাওয়া
প্রিফেকচারের হোটেলে মৃদু উপসর্গের এক রোগীর হঠাৎ মৃত্যু
হয়েছে। তৃতীয় ঢেউয়ের সময় করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায়
কিছু এলাকায় মৃদু উপসর্গের রোগীদের হোটেলে রেখে চিকিৎসা
সেবা দেওয়া হচ্ছে। কানাগাওয়া প্রিফেকচারে হোটেলে থেকে
চিকিৎসা সেবা নেওয়া মৃদু উপসর্গের এক রোগীকে তার রুমে মৃত
অবস্থায় পাওয়া গেছে। বিস্তারিত
এখানে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে উপসর্গ মৃদু দেখা
দিলেও সাবধান থাকা দরকার।
২০২০/১২/১২ঃ রেকর্ড,
রেকর্ড, আর রেকর্ড! জাপানে একদিন মৃতের সংখ্যায় রেকর্ড হয়
তো পরের দিন শনাক্তের সংখ্যায় রেকর্ড। আজ জাপানে রেকর্ড
সংখ্যক (৩,০৪১জন) করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। আজ টোকিও,
সাইতামাসহ আরো কিছু এলাকায় রেকর্ড সংখ্যক করোনা রোগী
শনাক্ত। আবার গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যায়ও রেকর্ড (৫৭৮জন
) । ইদানীং প্রতিদিন ৩০-৪০জন করে মারা যাচ্ছে।
২০২০/১২/১০ঃ
গতকালের রেকর্ড আজ ভেঙে গেছে! আজ জাপানে রেকর্ড ২,৯৬৮ জন
করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। টোকিও, সাইতামা, চিবা এলাকায়
রেকর্ড সংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
২০২০/১২/৯ঃ আজ জাপানে
রেকর্ড সংখ্যক (২,৮১০জন) করোনা রোগী শনাক্ত! তৃতীয়
ঢেউয়ের সময় শনাক্তের সংখ্যায় রেকর্ড, মৃতের সংখ্যায়
রেকর্ড, গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যায় রেকর্ড হচ্ছে।
২০২০/১২/৮ঃ গত ২৪
ঘন্টায় জাপানে রেকর্ড সংখ্যক (৪৭ জন) করোনা রোগী মারা
গেছে। গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। তৃতীয় ঢেউয়ের
সময় শুধু করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যায় নয়, মৃতের
সংখ্যায়ও রেকর্ড হচ্ছে।
২০২০/১২/৪ঃ গত ২৪
ঘন্টায় জাপানে রেকর্ড সংখ্যক (৪৫জন) করোনা রোগী মারা গেছে।
গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে।
২০২০/১২/১ঃ গত ২৪
ঘন্টায় জাপানে রেকর্ড সংখ্যক (৪১জন) করোনা রোগী মারা গেছে।
গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে।
২০২০/১১/২৮ঃ আজ জাপানে
রেকর্ড সংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত। আজ জাপানে ২,৬৮৪ জন
করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। টোকিওতে ৫৬১জন, ওসাকাতে ৪৬৩জন
করোনা রোগী শনাক্ত। আর গত পরশুদিন ২৯ জন আর গতকাল ২৩ জন
করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মারা গেছে।
২০২০/১১/২১ঃ আগের দিন রেকর্ড হয়; পরের
দিন সেই রেকর্ড ভেঙে যায়। আজ আবার নতুন রেকর্ড হয়েছে! আজ
জাপানে রেকর্ড ২,৫৬০ জন করোনা রোগী শনাক্ত। টোকিওতে (৫৩৯
জন), ওসাকাতে (৪১৫ জন), সাইতামাতে (১৭৩জন), হিয়োগোতে
(১৫৩জন), চিবাতে (১০৯জন) এবং ইবারাকিতে (৬৬জন) রেকর্ড
সংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ রোগীর
সংখ্যাও বাড়ছে।দিনে টেস্টের সংখ্যা সর্বোচ্চ ক্ষমতার ৫০%
এ চলে গেছে।
২০২০/১১/২০ঃ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
(WHO) বলছে যে করোনা রোগীর চিকিৎসায় Remdesivir কার্যকরী
নয়। বিস্তারিতঃ WHO
২০২০/১১/২০ঃ আজ
জাপানে আবার রেকর্ড হয়েছে! আজ জাপানে রেকর্ড ২,৪২৭জন করোনা
রোগী শনাক্ত হয়েছে আর ১৪জন মারা গেছে। ওসাকাতে ও হোক্কাইডে
রেকর্ড সংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত।
২০২০/১১/১৯ঃ জাপানে করোনা পরিস্থিতির
আরো অবনতি! আজ নতুন রেকর্ড ২,৩৯৭জন করোনা রোগী শনাক্ত আর
গত ২৪ ঘন্টায় ২১ জন মারা গেছে। আজ টোকিও (৫৩৪জন), ওসাকা
(৩৩৮জন), হোক্কাইডো (২৬৭জন), চিবা (১০৬জন) সহ
বিভিন্ন এলাকায় রেকর্ড সংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত
হয়েছে।
২০২০/১১/১৮ঃ রেকর্ডের পর রেকর্ড! আজ জাপানে
একদিনে রেকর্ড ২,২০১জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে আর গত ২৪
ঘন্টায় ১৩ জন মারা গেছে। জাপানের বিভিন্ন এলাকায় রেকর্ড
সংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত। আমার দেওয়া পূর্বাভাস আবারো
সঠিক বলে প্রমাণিত---তৃতীয় ঢেউ প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে
কমপক্ষে তিনগুন বেশি শক্তিশালী।টোকিওতে সর্বোচ্চ লেভেলের
এলার্ট (সতর্কতা) জারি ! এ সপ্তাহে আরো বাড়ার সম্ভাবনা
আছে। করোনা ভাইরাসের টিকা ডিসেম্বর মাসে বাজারে এলেও
সাধারণ জনগণ আগামী বছর জুন-জুলাই মাসের দিকে পেতে পারে।
২০২০/১১/১৫ঃ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আগামী
সপ্তাহে জাপানে প্রচুর করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার সম্ভাবনা
আছে। আর এই শীতের মৌসুমে একই সময়ে ইনফ্লুয়েঞ্জার সংক্রমণের
পিক ও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের পিক হওয়ার আশংকা আছে; দুই
পিক একই সময়ে হলে হাসপাতাল রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে
হিমশিম খাবে। এজন্য বিভিন্ন শীত প্রধান দেশের সরকার
ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা নিতে জনগণকে উৎসাহিত করছে। জাপানে
বসবাসরত প্রবাসীদের মধ্যে যারা ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা নিতে
চান তারা নভেম্বর মাসের মধ্যেই নিবেন। ভালো থাকুন, সুস্থ
থাকুন।
২০২০/১১/১৪ঃজাপানে
গতকালের রেকর্ড আজ আবার ভেঙে গেছে। আজ জাপানে সর্বোচ্চ
১,৭৩৩জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা নতুন রেকর্ড!
২০২০/১১/১৩ঃ জাপানে
গতকালের রেকর্ড আজ ভেঙে গেছে। জাপানে আজ সর্বোচ্চ সংখ্যক
করোনা রোগী শনাক্ত। আজ জাপানে ১,৭১০ জন করোনা রোগী শনাক্ত
হয়েছে আর গত ২৪ ঘন্টায় আরো বারো জন মারা গেছে।
২০২০/১১/১২ঃ আজ
জাপানে রেকর্ড সংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত! আজ সর্বোচ্চ
সংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত। রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত জাপানে
১,৬৪৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে আর গত ২৪ ঘন্টায় আরো
আটজন মারা গেছে। জাপানের বিভিন্ন প্রান্ত কাঁপিয়ে করোনা
ভাইরাস সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ হাজির!
২০২০/১১/১১ঃ জাপানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ
পরিস্থিতির আবারো অবনতি! জাপানে খুব সম্ভবতঃ করোনা ভাইরাস
সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। তৃতীয় ঢেউ প্রথম ঢেউয়ের
তিনগুণ বেশি শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আজ সন্ধ্যা
৬:৩০পর্যন্ত জাপানে মোট ১,৫৪৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে,
যা দ্বিতীয় ঢেউয়ের পিকের কাছাকাছি। গত ২৪ ঘন্টায় আরো বারো
জন মারা গেছে।
২০২০/১১/৭ঃ জাপানে
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের অশনিসংকেত। গত
তিনদিনে জাপানে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা যথাক্রমে ১,০৫৪
জন, ১,১৪৫ জন ও ১,৩২৮ জন ।টোকিও, ওসাকা, হোক্কাইডো,
কানাগাওয়া, সাইতামা, আইচি ও চিবা এলাকায় বেশি সংখ্যক করোনা
রোগী শনাক্ত হচ্ছে। সাবধানে থাকুন, ভালো থাকুন।
২০২০/১০/৩১ঃ ১। জাপানে
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আবার উর্দ্ধমুখী। এই সপ্তাহে গত
পাঁচ দিনে জাপানে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা যথাক্রমে
৬৪৯জন, ৭৩১জন, ৮০৮জন , ৭৭৮জন এবং ৮৭৬জন। মৃতের সংখ্যাও
বাড়ছে।
২। অক্টোবর-নভেম্বর মাস জাপানে ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা দেওয়ার
সময়। জাপানে অনেকেই ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা নিচ্ছেন। স্বাস্থ্য
বিশেষজ্ঞরা আশংকা করছেন যে এই শীতের সময়ে যদি করোনা
ভাইরাসের সংক্রমণের পিক ও ইনফ্লুয়েঞ্জার পিক একই সময়ে হয়
তাহলে রোগীদের চিকিৎসা দিতে হাসপাতাল/ক্লিনিক হিমশিম
খাবে। তাই এবার ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা নিতে অনেক দেশ
জনগণকে উৎসাহিত করছে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে গবেষণার
পরিসমাপ্তি! এপ্রিল ২১ তারিখ থেকে শুরু করে টানা
প্রায় চার মাস ধরে গাণিতিক ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার
(Artificial Intelligence, AI) মডেল প্রয়োগ করে বাংলাদেশে
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রক্ষেপণ এবং জাপানের ও
বাংলাদেশের করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যার পূর্বাভাস দিয়েছি।
আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে, গাণিতিক ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার
মডেল কতটা সঠিকভাবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রক্ষেপণ
ও করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যার পূর্বাভাস দিয়েছে। এই ধরণের
গবেষণার জন্য প্রচুর সময় দরকার। প্রচন্ড ব্যস্ততার কারণে
এই গবেষণার পরিসমাপ্তি টানছি। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ
থাকবেন এ শুভ কামনা করছি। ধন্যবাদ।
২০২০/৮/২৯ঃ জাপানে বসবাসরত বিদেশিরা সেপ্টেম্বর
মাস থেকে জাপানে প্রবেশ করতে পারবে কিংবা জাপান ছেড়ে চলে
যেতে পারবে। জাপানে প্রবেশের ক্ষেত্রে করোনা নেগেটিভ
সার্টফিকেট লাগবে। বিস্তারিতঃ Japan
Times (2020/8/28)
২০২০/৮/৩০ঃ করোনা
ভাইরাসের টিকাঃ জাপানে আগামী বছর ১২কোটি ডোজ করোনা
ভাইরাসের টিকা আসবে। এর মধ্যে ৩কোটি ডোজ মার্চ মাসের মধ্যে
পৌঁছালেও প্রথমে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার
ভিত্তিতে আগে টিকা দেওয়া হবে বলে সাধারণ সুস্থ ব্যক্তিরা
মে-জুন মাসের দিকেটিকা পেতে পারে।
২০২০/৯/১৪ঃ বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ
নিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও গাণিতিক মডেল প্রয়োগ করে
যে প্রক্ষেপন দেওয়া হয়েছিল তার এক অংশ আজ সঠিক বলে
প্রমাণিত। কিন্তু নির্মম বাস্তবতা! এপ্রিল ২১,
২০২০ তারিখ রাতে দেওয়া প্রক্ষেপণ অনুযায়ী বাংলাদেশে
মার্চ ৮ থেকে সেপ্টেম্বর ৩০ তারিখ পর্যন্ত ৪,৭৪৬-২৩,৭৩৪
জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা আছে
বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশের নীতি-নির্ধারক ও
সাধারণ মানুষের জন্য ছিল এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ
প্রক্ষেপণ ছিল কিন্তু তখন অনেকেরই এই প্রক্ষেপণ বিশ্বাস
হয়নি। আজ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ৪,৭৫৯জন
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। বেদনাদায়ক
হলেও পূর্বাভাস সঠিক বলে প্রমাণিত। (পাঁচ মাস
আগে দেওয়া সেই প্রক্ষেপণ ডানপাশে দেখুন)
২০২০/৯/১৬ঃ জাপানের ৯৯তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইয়োশিহিদে
সুগার (Yoshihide Suga) শপথ গ্রহন।
২০২০/৯/১৮ঃ জাপানে আদমশুমারি চলছে।
প্রত্যেকের বাসায় আদমশুমারির ফরম এসেছে/আসবে।
ইন্টারনেটে কিংবা এই ফরম পূরণ করে উত্তর দিতে হবে। একটা
দেশের বিভিন্ন পরিকল্পনার জন্য আদমশুমারির তথ্য অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। বিস্তারিতঃ Census 2020
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের
সংক্রমণ নিয়ে দেওয়া প্রক্ষেপণের চূড়ান্ত মূল্যায়ন
(২০২০/৯/৩০)
খুব সম্ভবতঃ করোনা
ভাইরাস প্রতরোধের জন্য টিকার দুই ডোজ লাগবে। ভারতের Serum
Institute এ বছরের শেষ নাগাদ Oxford/AstraZeneca কর্তৃক
উদ্ভাবিত টিকার ৩০কোটি থেকে ৪০ কোটি ডোজ তৈরি করবে।
ভারত এবং নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে প্রতি ডোজ তিন ডলার
দরে বিক্রি করবে। বিস্তারিতঃ TimesNowNews.com
| The
Tribune | DD
News
বিভিন্ন দেশে করোনা
ভাইরাসের এন্টিবডি টেস্টে দেখা যাচ্ছে যে হার্ড ইমিউনিটি
তৈরি হতে এখনো বহুদূর! ইতালিতে মাত্র ২.৫% মানুষের দেহে
করোনা ভাইরাসের এন্টিবডি তৈরি হয়েছে।
জাপানে করোনা ভাইরাস
সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে!
২০২০/৮/১১ রাত ১০টা ৩০
মিনিটঃ জাপানে পর পর তিনদিন ছুটি থাকায় এবং Obon
festivalএর কারণে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা পর পর দুইদিন
অনেক কম! কিন্তু এরই মাঝে প্রতিদিন ৪-৫জন করে মারা যাচ্ছে
এবং গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। আগামী সপ্তাহে
আবার বাড়ার সম্ভাবনা আছে।
২০২০/৮/৯ রাত ১০টাঃ
১। এই সপ্তাহে প্রতিদিন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial
Intelligence, AI) মোটামুটি সঠিক পূর্বাভাস দিয়েছে।
আগামী দিনে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে মানুষ
বিভিন্ন ধরণের পূর্বাভাস দিবে। মানুষ আগেভাগেই জেনে যাবে
ফলাফল; সেটা কারো জন্য হবে সুখের, কারো জন্যে অত্যন্ত
দুঃখের!
২। জাপানে করোনা ভাইরাসের টিকা আগামী বছর
জানুয়ারী-মার্চ মাসে এসে পৌঁছানোর সম্ভাবনা আছে। বিস্তারিত
NHK(2020/8/7)
আর টিকা আসা পর্যন্ত repurpose medicineই একমাত্র ভরসা।
সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে।
৩। করোনা ভাইরাসের
সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় টোকিও এলাকায় যারা
আক্রান্ত হচ্ছে তাদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের বয়স ২০ বছর
থেকে ৩৯ বছর।
আপডেট ২০২০/৮/৭ রাত ১১টাঃ
১। আজ জাপানে রেকর্ড সংখ্যক করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত রোগী
শনাক্ত! অতীতের রেকর্ড ভেঙে আজ জাপানে এখনো পর্যন্ত মোট
১,৬০৫জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে! গত ২৪ ঘন্টায় সাতজন
মারা গেছে। আস্তে আস্তে গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যা
বাড়ছে; গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ১৬জন গুরুতর অসুস্থ রোগী
হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
২। AI
অত্যন্ত বুদ্ধিমান! কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মডেলের
পূর্বাভাসের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে কারো মনে সন্দেহ থাকা উচিত
নয়। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মডেল ব্যবহার করেই ছয় মাস আগে
বাংলাদেশের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রক্ষেপণ দিয়েছিলাম,
জাপানের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পূর্বাভাস দিয়েছিলাম। সেগুলো আজ
প্রায় সঠিক বলে প্রমাণিত হয়েছে কিংবা হতে যাচ্ছে। আর
জাপানের প্রতিদিনের পূর্বাভাস দেখুন। অধিকাংশ দিন শনাক্তের
সংখ্যার রেঞ্জ নিয়ে প্রায় নির্ভুল পূর্বাভাস দিচ্ছে!
তবে লক্ষ্য করেছেন যে প্রতিদিন ১০০% সঠিক পূর্বাভাস দেওয়া
কঠিন; এদিক-ওদিক হবেই। আজকের (৮/৭) পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন
ছিল এবং আমি নিজেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পূর্বাভাস নিয়ে
সন্দিহান ছিলাম; আমার ধারণা ছিল আজ কমবে কিন্তু কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তা পূর্বাভাস দিয়েছিল যে আজ অনেক বাড়বে। আজ মোট
শনাক্তের সংখ্যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রেঞ্জ থেকে মাত্র
৬৫জন দূরে!
২০২০/৮/১ঃ
আজ জাপানে ১,৫৩৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এখনো
পর্যন্ত গতকালের চেয়ে কম। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মডেল
সঠিক পূর্বাভাস দিয়েছিল।
২০২০/৭/৩১ঃ আজ
করোনা ভাইরাস অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে।
গতকালের রেকর্ড আজ ভেঙে গেছে। আজ এর্যন্ত ১,৫৮০ জন করোনা
রোগী শনাক্ত হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পূর্বাভাস থেকে
২৬২জন বেশি!
২০২০/৭/৩০ঃ আজ
করোনা ভাইরাস অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে।
গতকালের রেকর্ড আজ ভেঙে গেছে। আজ এর্যন্ত ১,৩০১ জন করোনা
রোগী শনাক্ত হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সঠিক পূর্বাভাস
দিয়েছিল।
২০২০/৭/২৯ঃ আজ
করোনা ভাইরাস অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে।
জাপানের বিভিন্ন এলাকায় রেকর্ড ভেঙে গেছে। আজ এর্যন্ত
১,২৬৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
সঠিক পূর্বাভাস দিয়েছিল।
২০২০/৭/২৮ঃ
দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় আজও সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্ত
হয়েছে। আজ এ ৯৮১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তা বলছে আগামীকাল এক হাজার ছাড়িয়ে যাবে। আজ
তিনজন মারা গেছে এবং ৯জন গুরুতর অসুস্থ রোগী হাসপাতালে
ভর্তি হয়েছে।
২০২০/৭/২৩ঃ
করোনা
ভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সুনামি! করোনা ভাইরাস
আজ জাপানের অতীতের রেকর্ড ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে।
টোকিওতে নতুন রেকর্ড, আইচিতে নতুন রেকর্ড,... আজ জাপানে
সর্বশেষ ৯৮১জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে! কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তার মডেল (AI Model) এর পূর্বাভাস ছিল
৯১৯(রেঞ্জঃ ৮২৯-১০০৯)জন।
২০২০/৭/২৪ঃ আজ জাপানে
এখনো পর্যন্ত মোট ৭৭৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। টানা
চারদিন ছুটির কারণে একটু কম!
২০২০/৭/২২ঃ আজ জাপানে
অতীতের রেকর্ড ভেঙে গেছে। আজ জাপানে ৭৯৫ জন করোনা রোগী
শনাক্ত! আমার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মডেল (AI Model) এর
পূর্বাভাস ছিল ৬২৬-৮০৫জন।
২০২০/৭/১৭ঃ গতকালের রেকর্ড ভেঙে গেছে! টোকিওতে
২৯৩জন করোনা রোগী শনাক্ত! জাপানে মোট ৫৯৭ জন!
২০২০/৭/১৬ঃ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে টোকিওতে ২৮৬
জন করোনা রোগী শনাক্ত! সারা জাপানে ৬২৩জন!
জাপানে করোনা ভাইরাস
সংক্রমণের পরিস্থিতির অবনতি! আমার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার
মডেল (AI Model) এর পূর্বাভাস অনুযায়ী এই মাসের মধ্যে
করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা এক হাজারের কাছাকাছি চলে
যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের উপসর্গ
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত
অধিকাংশ রোগীর উপসর্গ সাধারণ সর্দি-জ্বরের মত। কানাগাওয়া
প্রিফেকচারের কাওয়াসাকি সিটির কয়েকজন রোগীর নিম্নলিখিত
উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। তথ্যসূত্রঃ Kawasaki
City
১। রোগী-১ (বয়সঃ ২০-২৯বছর এর ভিতর) জুলাই ২০ঃ
গলাব্যথা; জুলাই ২৩ঃ টেস্টে করোনা পজিটিভ।
২। রোগী-২ (বয়সঃ ২০-২৯বছর এর ভিতর) জুলাই ১৮ঃ
গলাব্যথা; জুলাই ২০ঃ জ্বর; জুলাই ২২ঃ টেস্টে করোনা পজিটিভ।
৩। রোগী-৩ (বয়সঃ ২০-২৯বছর এর ভিতর) জুলাই ১৯ঃ জ্বর;
জুলাই ২৩ঃ টেস্টে করোনা পজিটিভ।
৪। রোগী-৪ (বয়সঃ ২০-২৯বছর এর ভিতর) জুলাই ১৯ঃ
গলাব্যথা, ডায়রিয়া; জুলাই ২৩ঃ টেস্টে করোনা পজিটিভ।
৫। রোগী-৫ (বয়স ৫০-৫৯ বছর এর ভিতর) জুলাই ২০ঃ জ্বর; জুলাই
২৩ঃ টেস্টে করোনা পজিটিভ।
৬। রোগী-৬ (বয়স ৫০-৫৯ বছর এর ভিতর) জুলাই ১৭ঃ মাথা
ভার; জুলাই ১৮ঃ জ্বর, কাশি, মাথাব্যথা; জুলাই ২৩ঃ টেস্টে
করোনা পজিটিভ।
৭। রোগী-৭ (বয়স ৩০-৩৯ বছর এর ভিতর) জুলাই ১৯ঃ জ্বর,
ক্লান্ত-ক্লান্ত ভাব, চোখ লাল হয়ে যাওয়া,
জয়েন্টে-মাংসপেশীতে ব্যথা; জুলাই ২৩ঃ টেস্টে করোনা পজিটিভ।
৮। রোগী-৮ (বয়স ২০-২৯ বছর এর ভিতর) জুলাই ১৭ঃ
সর্দি,গলাব্যথা,ঘ্রাণশক্তির লোপ ও স্বাদহীন; জুলাই ২৩ঃ
টেস্টে করোনা পজিটিভ।
করোনা ভাইরাস পরামর্শ
কেন্দ্রে যোগাযোগ
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে যদি কারো
সন্দেহ হয়, তাহলে সরাসরি হাসপাতালে না গিয়ে আগে
Corona Virus Consultation Hotlineএ টেলিফোন করে
পরামর্শ নিবেন।
পরামর্শ কেন্দ্রে পরামর্শের জন্য ওয়ার্ড
অফিস->সিটি অফিস -> প্রিফেকচার ->
স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়->JNTO এই
ক্রমে হটলাইনে টেলিফোন করে যোগাযোগ করার চেষ্টা
করবেন, মানে এক জায়গায় লাইন না পেলে অন্য জায়গায়
চেষ্টা করবেন।
জাপানে
Cedar
গাছের ফুলের রেণু থেকে সৃষ্ট পোলেন এলার্জি (জাপানী
ভাষায় 'কাফুনশো' ) আছে। ওকিনাওয়া ও হোক্কাইডো
এলাকা বাদে জাপানের বাকি এলাকায় প্রায় ৪৫% মানুষ
ফেব্রুয়ারী-এপ্রিল মাসে Cedar এবং Cypress গাছের
ফুলের রেণু থেকে সৃষ্ট পোলেন এলার্জিতে আক্রান্ত
হয়। উপসর্গ
হলো হাঁচি, সর্দি, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, চোখ
চুলকানি। কারো কারো প্রচন্ড কাশি হয়। বিদেশিরা সাধারণত জাপানে
এসে দুই-তিন বছর পরে বুঝতে পারে।
Note: Research using
Artificial Intelligence is being conducted by Topon Paul, PhD,
Tokyo, Japan. There is no warranty that the research results
may reflect the actual Corona Virus Infection situations in
Japan and Bangladesh.